মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা Class 6,7,8,9,10,11,12

পরিক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা টি আসার সম্ভবনা খুবই বেশি । পরিক্ষায় একটি না একটি রচনা থাকবেই এটাই সাভাবিক তার মধ্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি একদম সঠিক স্থানে এসেছেন । আজকে আমরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে খুব সহজ ভাষায় আলোচনা করছি ।

আমার প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক হন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন । আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে একবার পড়েন তাহলে একবারই আপনার মুখস্ত হয়ে যাবে এই রচনাটি যা আর কখনো ভুলে যাবেন না ।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা

ভূমিকা : মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ও রক্তক্ত অধ্যায় । ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে পুর্ববাংলার মানুষ অর্জন করে স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ । স্বাধীনতা হলো একটি জাতির আজন্ম লালিত স্বপ্ন । স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার মধ্যে যেমন গৌরব থাকে , তেমনি পরাধীনতায় থাকে গ্লানি ।

বাঙালি জাতিও চায়নি বছরের পর বছর শাসনে শোষনে পাকিস্তানিদের দাস হয়ে থাকতে । তাই পরাধীন হয়ে কেউ বাঁচতে চায় না । দাসত্বের শৃঙ্খল কেউ বাঁধা পড়তে চায় না । তাই তারা শৃঙ্খল ভেঙ্গে বেরিয়ে পড়েছিল আন্দোলনে , সোচ্চার হয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রামে । অবশেষে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে পেয়েছিল তাঁদের স্বপ্নের স্বাধীনতা ।

পটভূমি : ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে জন্ম নেয় ভারত ও পাকিস্তান নামের দুইটি পৃথক রাষ্ট্র । পাকিস্তান রাষ্ট্রের ছিল দুটি অংশ পশ্চিম পাকিস্তান আর পূর্ব পাকিস্তান । কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানিরা কখনোই পূর্ব পাকিস্তানকে সমান মর্যাদা দেয়নি ।বরং সব সম চেয়েছে পূর্ব পাকিস্তানকে দমিয়ে রাখতে ।

পশ্চিম পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক , অর্থনৈতিক , সামরিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য জর্জরিত করতে থাকে পূর্ব পাকিস্তানকে । শিল্প কারখানায় কাঁচামালের জন্য পশ্চিম পাকিস্তান নির্ভর করতো পূর্ব পাকিস্তানের ওপর । শ্রমিকদের অল্প বেতন দিয়ে উতপাদনের কাজ করাতো ।

রাজস্ব থেক আয় , রপ্তানি আয় প্রভুতির সিঙ্ঘভাগ ব্যয় হতো পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়নে । পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতিরক্ষায় যেখানে ৯৫% ব্যয় হতো , সেখানে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি রক্ষায় ব্যয় হতো মাত্র ৫% শতাংশ । আবার ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরস্কুশভাবে জয়ী হলেও পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী কোনোভাবেই বাঙালিদের হাতে শাসন ভার তুলে দিতে চায়নি ।

পূর্ব পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অভাব , সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শোষণ , অবকাঠামোগত উন্নয়নে অবেহেলা মৌলিক নাগরিক অধিকারে হস্তক্ষেপ সহ সকল প্রকার বৈষম্য স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র গঠনের দাবিকে জোরালো করে তোলে ।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা

বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও বিকাশ : বাঙালি জাতির রাজনৈতিক সচেতনতা ও জাতীয়বাদের উন্মেষ পূর্ব থেকে হলেও রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে তা জোরালো হয় । পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ , উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেন । 

এই ভাষ আন্দোলন চূড়ান্ত রুপ নেয় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি । ওই দিন ভাষার দাবিতে রাজপথে শহীদ হন রফিক , সালাম , বরকত ,জব্বার সহ আরো অনেকে । ভাষা ও সংস্কৃতির উপর শাসকগোষ্ঠীর আঘাত ছিল বাঙালির কাছে তাঁদের অস্তিত্বের মূলে আঘাত স্বরুপ ।

একদিকে বাঙালিরা যেমন সংকটের প্রকৃতি ও গভীরতা বুঝতে পারে । অন্যদিকে তা মোকাবেলার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে । ১৯৫৪ র নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের জয়লাভ , ১৯৬২ র গনবিরোধী শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন , ১৯৬৬ র বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি । ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হয় ।

এই প্রত্যেকটি ঘটনার মধ্যে দিয়ে বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনার স্ফুরণ ঘটে এবং ১৯৭০ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করে  । 

স্বাধীনতার ডাক : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ জয়ী হলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর করে নি । বরং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সরকার তখন ষড়যন্ত্র শুরু করে । এর ফলে ১৯৭০ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সময় সোহারাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিত । 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার উন্মুখ দশ লক্ষাধিক মানুষের সামনে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন । আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায় , বাংলার মানুষ বাচতে চায় , বাংলার মানুষ তার অধিকার চায় ।… এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম । এর পর গড়ে ওঠে তীব্র অসহযোগ আন্দোলন ।

২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার লিখিত ঘোষণাপত্র দিয়ে যান । ২৬শে মার্চ দুপুরে এম এ হান্নান চর্ট্রগ্রামের কালুর ঘাটের স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পত্রটি পাঠ করেন ।

অপারেশন সার্চলাইট : ইতিহাসের ঘৃণিত গণহত্যা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ অপারেশন সার্চলাইট । এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা , পিলখানা , রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এবং ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে হত্যা করে অসংখ্য নিরস্ত্র বাঙালিকে ।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা

মুজিবনগর সরকার গঠন : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয় । এই দিন স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রও গৃহীত হয় । বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত সরকার ১৭ ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা ইউনিয়নের আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করে ।

বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন । তখন এই জায়গার নতুন নাম হয় মুজিবনগর । পরবর্তীকালে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র অনুযায়ী দেশ চলতে থাকে । 

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী সাংবিধানিক পদক্ষেপ ছিল মুজিবনগর সরকার গঠন ।এই সরকারের নেতৃত্বে নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় । বিশ্বব্যাপী জনসমর্থন আদায়ে এই সরকার গ্রুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে ।

সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ ও জনযুদ্ধ : ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ নিরস্ত্র জনগণের উপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ চালালে বাঙালি ছাত্র , জনতা , পুলিশ , ইপিয়ার ও বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনা সদস্যরা সাহসিকতার সাথে তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় ।

বিনা প্রতিরোধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বাঙালিরা ছাড় দেয়নি । দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে বহু মুকিযোদ্ধা বিভিন্ন রণাঙ্গনে শহীদ হন । মুক্তিযোদ্ধাদের এ ঋন কোন দিন শোধ হোয়ার নয় । জাতি চিরকাল মুক্তিযোদ্ধাদের সূর্যসন্তান হিসেবে মনে রাখবে ।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালি অংশগ্রহণ করে । বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মানুষও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় ।তাই এ যুদ্ধকে বলা হয় গ্ণযুদ্ধ বা জন যুদ্ধ । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মুল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগ্ণ।

তাই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী ছাত্র , পেশাজীবী , নারী , সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের জন সাধারণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঝাপিয়ে পড়ে । জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে ।

কর্নেল আতাউল গনি ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি করে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়েছিল । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এর সর্বাধিনায়ক । মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয় ।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা

৩রা ডিসেম্বর থেকে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে তারতীয় মিত্রবাহিনী যুক্ত হয়ে যৌথভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করে । যুদ্ধে পর্যুদস্ত হয়ে ১৬ই ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য নিয়ে জেনারেল নিয়াজী আত্নসমর্পণ করে । মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় হয় ।

মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ । নারী সক্রিয় ছিল কখনো সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে আবার কখনো বা যুদ্ধক্ষেত্রের আড়ালে । মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়েছেন , প্রেরণা জুগিয়েছেন এমন নারীর সংখ্যা অসংখ্য । 

অজানা-অচেনা আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রূষা করেছেন বহু নারী । চরম দুঃসময়ে পাকিস্তানি হানাদারের হাত থেকে রক্ষা করতে নিজেদের ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের । অনেক সময়ে শত্রুর কাহে নিজেদের সম্ভ্রম এবং প্রাণও দিতে হয়েছে ।

মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের অবদান : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন । বিভিন্ন দেশে তারা মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন । বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ে বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের কাছে ছুটে গিয়েছেন ।

তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেছেন । পাকিস্তানকে অস্ত্র , গোলাবারুদ সরবরাহ না করতে বিশ্বের বিভিন্ন সরকারের নিকট আবেদন করেছেন । এক্ষেত্রে ব্রিটেনের প্রবাসী বাঙালিদের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা : যুদ্ধের সময় দেশপ্রেম জাগ্রতকরণ , মনোবল বৃদ্ধিসহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ও অবদান ছিল খুবই প্রশংসনীয় ।

পত্রপত্রিকায় লেখা , স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে খবর পাঠ , দেশাত্নবোধক ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান , আবৃত্তি , নাটক , কথিকা , জনপ্রিয় অনুষ্ঠান , চরমপত্র ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করেছে ।

মুক্তিযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানিদের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের খবর আন্তর্জাতিক গণ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্ব জনমত বাংলাদেসেহের স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে দাঁড়ায় । ভারত সে সময়ে এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয় । সোভিয়েত ইউনিয়নও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন দেয় । 

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা

তৎকালীন মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের বিরোধিতা করলেও সে দেশের জনগণ , বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশকে সমর্থন দেয় । বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গানের দল বিটলস এর জর্জ হ্যারিসন এবং ভারতীয় সঙ্গগীতজ্ঞ পন্ডিত রবিশস্কর কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এর আয়োজন করেছিলেন । ফরাসি সাহিত্যিক আদ্রে মালরো , জা পল সার্ত্রে সহ অনেকেই তখন বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছিলেন ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা : মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টার পাশাপাশি ক্ষুধা-দারিদ্র্য অশিক্ষা-কুসংস্কার থেকে মুক্ত অসাম্প্রদায়িক একটি দেশের বঙ্গবন্ধু যার নাম দিয়েছিলেন সোনার বাংলা । এই সোনার বাংলা গঠনের চেতনাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা । নতুন প্রজন্মের কাছে এই চেতনাকে পৌছে দেওয়া জরুরি । কেননা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এই চেতনার কোন বিকল্প নেই ।

উপসংহার : মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির অহংকার । বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এনে দেয় । এই স্বাধীনতা ত্রিশ লক্ষ ভাইয়ের আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় । লক্ষ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া এই বাংলাদেশ ।

তাই এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের নিবেদিতপ্রাণ হওয়া উচিত । নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানো যেমন জরুরি তেমনি নাগরিকদের নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কেও সচেওত্ন হওয়া উভিত । মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কর্তব্যবোধ , ন্যায়নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে বাংলাদেশের যথাযর্থ অগ্রগতি নিশ্চিত করা সম্ভব ।

আপনি যদি উপরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা মনোযোগ সহকারে পড়ে আর এটি যদি আপনি পরিক্ষার খাতায় লেখেন তাহলে আপনি সবার চেয়ে ভালো নাম্বার পাবে মানে আপনি ফুল মার্ক পাবেন । আমাদের এই রচনাটি আপনাদের কেমন লাগছে কিংবা এই রচনা সম্পর্কে আপনার মতামত অবশ্যই জানাবেন ।

আমাদের banglatipsbd সাইটে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে । আপনার সুন্দর একটা মতামত দিন আমাদের সাইট সম্পর্কে । আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কোন প্রকার হেল্প নিতে চান তাহলে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হয়ে থাকেন । আপনাদের মন চাইলে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখতে পারেন আর হ্যাঁ পারলে আমাদের ইউটুব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন । আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *