মানসিক রোগের ঔষধের নাম

মানসিক রোগের ঔষধের নাম|মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ

মানসিক রোগের ঔষধের নাম ও মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ এবং মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ নিয়ে অনেকেই ইন্টারনেট খুজাখুজি করেন তাদেরকে বলছি আপনি একদম সঠিক স্থানে এসেছেন । আজকের এই আর্টিকেলটি হলো মানসিক রোগের লক্ষণ ,শারীরিক লক্ষণ ও এই রোগের ঔষধের নাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ।

আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন । আমরা প্রায় সকলই মানসিক রোগের ভুগছি । এক বলা যায় বাংলাদেশের ৮০% লোক  মানসিক রোগে ভুগছে । এই মানসিক রোগ অনেকেই বুঝতে পারে আবার কেউ কেউ বুঝতে পারে না যে তারা মানসিক রোগে ভুগছে কিনা ।

মানসিক প্রতিবন্ধী শব্দের ব্যবহার আজকাল অনেকেই বাদ দিয়েছেন । মানসিক প্রতিবন্ধী এই কথাটি এক প্রায় মানুষ বাদ দিয়েছে  এই কথাটি এখন মানুষ ব্যবহার করে নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করে । এই নেতিবাচক অর্থের কারণে আজকাল শিখতে পারার অক্ষমতা বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ।

মানসিক রোগের কারণ গুলো জিন-ভূতের আছর , জাদু-টোনা কিংবা তাবিজ এবং আলগা বাতাসের প্রভাব পড়ছে এই বিশ্বাস করে এখন অনেক মানুষ । এই রোগের কেউ কেউ চিকিৎসা করে না বরং তেল-পড়া ,পানি পড়া তাবিজ ও ঝাড়ফুঁক দিয়ে এই রোগের থেরাপি ইত্যাদি মাধ্যমে চিকিৎসা করে থাকে ।

মানসিক রোগের ঔষধের নাম

মানসিক রোগ বা মনোরোগ এক প্রকার মানসিক বা ব্যবহারিক দুর্দশা যা সাধারণ সমাজের সাংস্কৃতিক নীতিমালার সাথে মিশে না । মানসিক রোগ সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন সমাজ কিংবা সংস্কৃতির সাথে সুস্থতার সংজ্ঞা  দিয়ে আচ্ছে । যদি ও কিছু সাধারণ গড়মাপ সকল সমাজেই স্বীকৃত দেয় ।

এই রোগকে বলা হয় বায়ো-সাইকো সোশ্যাল বা মনো জৈব সামাজিক পদ্ধতি । ঔষধ কাজ করে রাসায়নিক পদার্থ বা নিউরোট্রান্সমিটারের ওপর সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিং কাজ করে জ্ঞানি বিকাশ আচারণ ও মনের গড়ের ওপর পরে । একটি কথা বলে রাখা ভালো মানসিক রোগের চিকিৎসায় এই তিন তিনটি প্রক্রিয়াই সব থেকে বেশি জরুরি ।

মানসিক রোগের ঔষধের নাম হলো নিউপেক্স ২০০ এম জি । মানসিক রোগের ঔষধ অনেক প্রকার আছে । আমি যে ঔষধের নাম বলাম এটি .এন্টিপিকাল এন্টিসাইকোটিক ড্রাগ যা সিজোফ্রেনিয়া এবং কিছু মানসিক রোগের চিকিৎসা করার জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা হয় ।

এই মানসিক রোগ নিয়ে একটা মজার কথা মনে পড়ে গেলো । আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি সেখান কার দাদা-দাদিরা এই মানসিক রোগকে বলে বিম্বতি । মানে এই রোগ যার হয় তার নাকি বয়সের দোষ । বিয়ে করার জন্য টালবাহানা করতেছে কিংবা ঢং-ভং করে ।

 এগুলো সব কুসংস্কার ও অজ্ঞতার বাধা পারিয়ে কেউ কেউ চিকিৎসার আওতায় আসে । যারা যারা চিকিৎসার আওতায় আসে তাদের মধ্যে বড় একটি অংশ ঔষধ নিয়ে নানান বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় । এই বিভ্রান্তিতে পড়ার ফলে তারা সঠিক চিকিৎসা করাতে পারে না ।

এই সব নিয়ে লিখেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ,ঢাকা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মুনতাসীর মারুফ । মানসিক রোগের ঔষধ সম্পর্কে একটি মিথ্যা ভ্রান্ত ধারনা আছে । মানসিক রোগের ঔষধ খেলে নাকি ব্রেনের ক্ষতি হয় । ব্রেন নষ্ট হয়ে যায় ও মস্তিষ্ক আর কখনোই স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না ইত্যাদি ।

পৃথিবীতে যে কোন রোগেরই নতুন কোন মানসিক রোগের ঔষধের নাম আবিষ্কার হয়ে তা আগে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় মানবদেহে পরিক্ষা করা হয় এটী কতটা কার্যকর কিংবা নিরাপদ তার পরেই এটিকে বাজার জাত করা হয় । অন্য যে কোন মানসিক রোগের ঔষধ আগে পরিক্ষা করে যাচাইবাচাই করে বাজারজাত করার অনুমতি প্রাপ্ত হয় । 

মানসিক রোগের নাম

মানসিক রোগর নাম বিভিন্ন ডাক্তার বিভিন্ন ধরণের নাম দিয়ে থাকেন । এর প্রধান কারণ হলো মানসিক রোগ বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে । পৃথিবীতে প্রত্যকেটি মানুষ বিভিন্ন রকমের মানসিক রোগে আক্তান্ত হয়ে থাকে ।

মানসিক রোগের নাম গুলো হলোঃ বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার , সাইকোসিস ডিজঅর্ডার , বিষন্নতা , হেলথ অ্যাংজাইটি , অ্যাংজাইটি , সাবস্টেন্স , সিজোফ্রেনিয়া , অ্যাবিউজ , ওসিডি , ট্রমাটিক ,ট্রেস ডিজঅর্ডার , প্যানিক অ্যাটাক ,কনভারশন ডিজঅর্ডার , ফোবিয়া , পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার ইত্যাদি ।

মানুষ প্রতিনিয়ত এই সব রোগের মধ্যে যে একটা একটায় ভুগছে । এছাড়াও আরো নানান রকমের মানসিক রোগের অস্তিত্ব আছে। মানসিক রোগের নাম শুনলে আমরা আত্তজ্ঞ হয়ে যাই । কিছু আমরা যদি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হলে পড়ে তাহলে কোন রোগই খুব সহজে ভালো হতে চান ।

আমরা যে কোন রোগে আক্রান্ত হই না কেন আমাদের সবার উচিত বিষয়টিকে সহজ ভাবে নেওয়া । সেই সঙ্গে সামাজিক সহায়তা দেয় বাড়তি নিরাপত্তা প্রদান করা । মানসিক রোগের চিকিৎসায় এই তিনটী প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা করা খুব জরুরি । প্রক্রিয়া তিনটি হলো বায়ো-সাইকো সোশ্যাল বা মনো জৈব সামাজিক ।

আমরা আগেই মানসিক রোগের নাম একটি ঔষধের নাম বলছি যা হলো কিউপেক্স ২০০ এম জি । এই ইউপেক্স ঔষধ এন্টিপিকাল এন্টিসাইকোটিক ড্রাগ যা সিজোফ্রেনিয়া রোগের কিংবা কিছু মানসিক রোগের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা হয় ।

মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ

মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি হলো বুক ব্যথা করে । বুক ধড়ফড়ে করে এই রকম রোগীকে অনেকই জরুরি হাসপাতালে নিয়ে আসেন । এই রকম সমস্যা হলে আমরা সবাই আতঙ্ক হয়ে পরি এই বুঝি রোগির হার্টের সমস্যা হলো ।

মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ
মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ

এই ধরণের রোগির পাশে বসে অনেকে আবার কান্না শুরু করে দেয় এই বুঝি রোগীর মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে । আসলে বুক ব্যথা প্যালপিটেশন হওয়ার মানেই এই না যে হার্টের অসুখ না । এই সব রোগীকে একের পর এক ইসিজি আর কো-কার্ডিওগ্রাম সিকেএমবি , ট্রপোনিন , সিবিস করতে বলা হয় । 

সব শেষে সব গুলো রিপোর্ট নরমাল আছে কিন্তু বুকে ব্যথা কমছে না । এখন আর কি এই ডাক্তার বাদ দিয়ে আবার অন্য আরেকটি ডাক্তার ধরেন । রোগীর চিন্তায় আপনার মাথা আর কাজ করছে না । আপনি হার্টের অসুখ ভেবে বারবার ইসিজি ও ইকো-কার্ডিওগ্রাম করেই যাচ্ছেন ।

এই দিকে রোগী একটু পর পর আপনাকে বলছে বুকের ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে । মাথাটা কেমন জানি ঝিমঝিম করছে । আপনি তো আরো ভয়ে পেয়ে গেলেন এই বুঝি স্ট্রোক করে ফেললো রোগি । রোগীর হাত পা অবশ হয়ে আসছে মনে হয় প্যারালাইসিস হয়ে যাবে ।

মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ গুলো হলোঃ
  • ১. হঠাৎ করে বুক ধড়ফড় করা , শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা ।
  • ২. দম বন্ধ হয়ে আশা , বড় বড় করে হাপানি রোগীর মতো করে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া ।
  • ৩. হাত পা অবশ হয়ে আশা ও শরীর কাপুনি দিয়ে উঠা ।
  • ৪. বুকের মধ্যে চাপ লাগা এবং ব্যথা অনুভব করা ।
  • ৫. কিছু কিছু রোগীর পেটে হঠাৎ মোচড় দেওয়া এবং উপরের দিকে বুক ধড়ফড় করা ।
  • ৬. কথা বলতে কষ্ট হয়ে যায় ।
  • ৭. বমি বমি ভাব । রোগীর গলা শুকিয়ে আশা।

উপরের এই মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ গুলো যদি কোন রোগীর মধ্যে দেখতে পান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি রোগিকে হাসপাতালে নিয়ে যান এই ভেবে এখনি বুঝি রোগির হার্ট অ্যাটাকের সময় হলো ।

মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ

মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ গুলো অনেক প্রকারের হয়ে থাকে তার মধ্যে একটি হলো ক্লান্তি , পেশি ব্যথা , মাথা ব্যথা ,গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সমস্যা , ঘুমের সমস্যা ও ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি পাওয়া ।

মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ
মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ
মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ নিম্নেঃ

ক্লান্তিঃ সব সময় রোগীকে ক্লান্ত বোধ করা যা মানসিক রোগের একটি খুব সাধারণ লক্ষণ। ঘুমের ব্যাঘাত ও হরমোন জনিত সমস্যা , ভারসাম্যহীনতা বা মানসিক চাপের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া সহ বেশ কয়েকটী কারণেই ক্লান্তি হয়ে থাকে ।

পেশী ব্যথাঃ পেশী ব্যথা এবং বুকে ব্যথা মানসিক অসুস্থতার আরেকটি প্রধান লক্ষণ । এই ব্যথা এবং ব্যথার মানসিক চাপ রোগের হতে পারে । শরীরের মাংস টান ধরার কারনে পেশী ব্যথা করে ।

মাথা ব্যথাঃ মানসিক রোগের আরেকটি লক্ষণ হলো রোগীর মাথা ব্যথা করা । মানসিক অসুস্থতার কারণে উপসর্গ এবং স্ট্রেস কিংবা টেনশন এছাড়াও বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা করে ।

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাঃ মানসিক রোগের আরেকটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা হতে পারে । যেমন বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া ।এই সমস্যাগুলি মানসিক চাপ ও উদ্বেগ এর কারণে এই সমস্যা হতে পারে ।

ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধিঃ ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি মানসিক রোগের একটি সাধারণ লক্ষণ । এই রোগের কারণে শরীরের ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি মানসিক চাপ বিভিন্ন কারণে হতে পারে । এগুলো মানসিক অসুস্থতার কিছু শারীরিক লক্ষণ মাত্র ।

Fatigue: Feeling tired all the time is a very common symptom of mental illness. Fatigue can be caused by a number of factors, including sleep disturbances and hormonal problems, imbalances or the body’s response to stress.

Muscle Pain: Muscle pain and chest pain is another major symptom of mental illness. This pain and the stress of the pain can lead to disease. Muscles ache due to the tension of the flesh of the body.

Headache: Another symptom of mental illness is headache of the patient. Symptoms due to mental illness and stress or tension also cause headaches for various reasons.

Gastrointestinal problems: Mental illness can cause another gastrointestinal problem. Such as nausea and diarrhea. These problems can be caused by stress and anxiety.

Weight loss or gain: Weight loss or gain is a common symptom of mental illness. Body weight loss or gain due to this disease can be due to stress due to various reasons. These are just some of the physical symptoms of mental illness.

দীর্ঘস্থায়ী সাইনাস সমস্যায় ভুগলে আপনি বুঝবেন আপনি মানসিক রোগে আক্রান্ত আছেন । যাদের দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ব্যথা আছে তারা বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় বেশি ঝুকির মধ্যে থাকে । এই সব রোগির চিন্তা শক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সামাজিক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না । এই সব রোগী সমাজ থেক পৃথক হয়ে যায় ।

মানসিক রোগের ঔষধের নাম হলো কিউপেক্স ২০০ এম জি ট্যাবলেট এর দুটি সংস্কারণ রয়েছে । এটির একটি অবিলম্বে মুক্ত সংস্করণ যেখানে এটি অবিলম্বে রক্ত প্রবাহে মুক্তি পায় আবার অন্যটি বর্ধিত মুক্ত সংস্করণ যেখানে এটি রক্তে ধীরে ধীরে মুক্তি পায় ।

আমাদের banglatipsbd সাইটে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক ভালো লাগছে । আপনার সুন্দর একটা মতামত দিন আমাদের সাইট সম্পর্কে । আপনাদের মন চাইলে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখতে পারেন আর হ্যাঁ পারলে আমাদের ইউটুব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *