আসলামুলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনারা কি মাদকাসক্তি ও এর প্রতিকার রচনা ২০ পয়েন্ট খুজতেছেন তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন । আপনার জানেন যে মাদকাসক্তি আমাদের সমাজে কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে । বিশেষ করে এতে আমাদের মতন কিশোর কিশোরী বয়সীরাই বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে ।
মাদকাসক্তির ফলে সুস্থ প্রজন্ম গড়ে উঠতে পারে না । আর প্রজন্ম সুস্থ না হলে ভবিষ্যত দেশ ও সমাজের গুরুদায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা যায় না । তাই তোমরা যারা সচেতন আছো তোমাদের সহ আমাদের সকলের দায়িত্ব হলো এই মাদকাসক্তিকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করা ।
বর্তমান সময় পরিক্ষার খাতায় এই রচনাটি সব থেকে বেশি আশার সম্ভাবনা থাকে । আর এই জন্য আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য মাদকাসক্তি ও এর প্রতিকার রচনা ২০ পয়েন্ট নিয়ে এসেছি । যা আপনি এক শেষ পর্যন্ত পড়লে চিরদিন মনে থাকবে সেই ভাবে এই রচনাটি সাজানো হয়েছে । আর হ্যাঁ ফুল মার্ক পাবে যদি আপনি আমাদের এই মাদকাসক্তি ও এর প্রতিকার রচনা ২০ পয়েন্ট লেখেন ।
মাদকাসক্তি ও এর প্রতিকার রচনা ২০ পয়েন্ট
ভূমিকা : বর্তমান সময়ে মাদকাসক্তি এক ভয়বাহ বৈশ্বিক সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে । অপার সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজের জন্য মাদকাসক্তি এখন এক মরণফাদ । এই ঘাতক ব্যাধিতে আসক্ত হবার ফলে সমাজ হচ্ছে কলুষিত এবং দেশ , জাতি ও পৃথিবীর জন্য অপেক্ষা করছে মর্মান্তিক পরিণতি ।

তাই একটি সুন্দর পৃথিবীর জন্য , আলোকিত আগামীর জন্য মাদকাসক্তির মতো মরণ থাবা থেকে তরুণ ও যুব সমাজকে রক্ষা করা একটি অবশ্য কর্তব্য বিষয় । মাদকাসক্তির নামক এই ছোট অথচ ভয়ংকর শব্দটি বর্তমান বিশ্বে বিশেষ করে আমাদের যুব সমাজের জন্য আরো ভয়ংকর হয়ে দাড়িয়েছে ।
মাদকাসক্তি কী : বিভিন্ন নেশার দ্রব্য গ্রহণ করা নেশা করার প্রবণতাই মাদকাসক্তি । নেশা ক্ষণিকের জন্য মনের যন্ত্রণা লাঘব করে সকল বেদনা থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে । নেশার কারনে বাস্তব চৈতন্যকে অবলুপ্ত করে তাকে নিয়ে যায় এক স্বতন্ত্র জগতে এসব বিশ্বাস থেকেই মাদকাসক্তির বিকাশ ।
মাদকদ্রব্য হিসেবে বহু উপকরণ আছে যেমন মদ গাঁজা , ভাং ইত্যাদি । সাম্প্রতিককালে হিরোয়িনের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি ছিলো । জীবনের হতাশা ব্যর্থতা বিষাদ কৌতুহল এসব কারণে এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে আমাদের যুব সমাজ । আবার কেউবা পড়তেছে সঙ্গদোষের কারণেও নিজেকে মাদকের সাথে জড়ীয়ে ফেলতেছে ।
মাদক ও মাদকাসক্তি : মাদকদ্রব্য হলো প্রাকৃতিক ভাবে অথবা রাসায়নিক ভাবে উৎপন্ন পদার্থ যা নেশা তৈরি করে । এসব পদার্থ যারা সেবন করে তাদের কে মাদকাসক্ত বলা হয় । মাদক সেবনের উদগ্র আকাঙ্ক্ষা বলা হয় মাদকাসক্তি ।
মাদকাসক্তি এমন এক নেশা যাতে একবার জড়িয়ে পড়লে তা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না । এর পরিণতি অকাল মৃত্যু । পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য রয়েছে । কিছু কিছু মাদকদ্রব্য ব্যথানাশক ও চেতনানাশক হিসেবে চিকিৎসার ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
তবে অধিকাংশ মাদকই নেশা কারী পদার্থ হিসেবে ব্যবহৃত হয় । মদ , গাঁজা , ভাং , আফিম , ইয়াবা , ফেনসিডিল , হেরোইন , প্যাথেড্রিন , মরফিন , কোকেন , চরস , পপি , মারিজুয়ানা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য মাদক । এগুলো বেচাকেনা বাংলাদেশে অবৈধ ।
তা সত্ত্বেও গোপনে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এগুলোর কেনা-বেচা চলে । তরুণ সমাজের বড় একটি অংশ এসব মাদক গ্রহণের মধ্যে দিয়ে নিজেদের ধ্বংস করার খেলায় মেতে ওঠেছে ।
শিশু ও মাদকাসক্তি : বর্তমানে বাংলাদেশে মাদকের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বড় মানুষের সাথে সাথে ছোট ছোট শিশুদের মধ্যেও । প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে দুইজন মাদক সেবন কারী হলো ৭ থেকে ১১ বছরের বয়সের শিশু এক বিশেষ জরিপে দেখা গেছে ।
তবে এর পরিমাণে মাদক কম ব্যবহার করে যার কারণে এদের মধ্যে মাদক নির্ভরশীলতার পরিমাণ কম থাকে । আর এই বয়সে শিশুদের মাদক সেবনের জন্য দায়ী হলো সামাজিক পরিবেশ সহ নিজ পরিবার । প্রধানত বস্থি এলাকার শিশুরা মাদকাসক্তের সাথে বেড়ে উঠে তাঁদের জীবন ।
মাদক চোরা চালানোর মত অপরাধ মুলক কাজের সাথে এরা সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং সেই সাথে মাদক সেবনের সাথে ও জড়িয়ে পড়ে । গবেষকরা মনে করে শতকরা ৪০ থেকে ৬০ ভাগ শিশু এপি জেনেটিক্স এবং পরিবেশগত প্রভাবের কারণে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে ।
মাদকের উৎস : মাদকের উৎস বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মাদক উৎপাদিত হয় । এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি অসাধু মুনাফালোভী বিশাল চক্র । মাদকের প্রক্রিয়াজাতকরণ , বিপণ্ন , চোরাচালানও হয় অনেক দেশে ।

থাইল্যান্ড মায়ানমার লাওস গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল , আফগানিস্তান-ইরান-পাকিস্তান গোল্ডেন ক্রিসেন্ট মাদক চোরাচালানের প্রধান অঞ্চল হিসেবে পরিচিত । মাদকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন হলো আফিম । পপি নামক উদ্ভিদ থেকে আফিম তৈরি হয় । আফিম থেকে তৈরি হয় মরফিন বেস ।
মরফিন বেস থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় হেরোইন । ব্রাজিল , বলিভিয়া , কলম্বিয়া , ইকুয়েডোর প্রভৃতি দেশে মাদক উৎপাদন ও চোরাচালানের বড় একটি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে । বর্তমানে এই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাদক সেবন : বর্তমানে মাদক বিস্তারে ব্যাপক ভুমিকা রাখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো । বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে পরিচয় ঘটে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে যার ফলশ্রুতিতে সহপাঠি বা আশে পাশের মানুষ দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং মাদকাসক্ত হয়ে উঠে ।
সম্প্রতি যুক্ত রাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কিশোরের উপর একটি পরিক্ষা চালিয়ে দেখা যায় যে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে জড়িত তাঁদের মাদকাসক্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায় পাঁচ গুন । এর সাথে মদ্যপানের প্রবণতা বেড়ে যায় তিন গুন । তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কে মাদকাসক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে ।
মাদকাসক্তির কারণ : জীবনের হতাশা ও দুঃখবোধ থেকে সাময়িক স্বস্তি লাভের আশায় মানুষ প্রথম্বার মাদক গ্রহণ করতে আগ্রহী হয় । অনেকে অন্যের প্ররোচনায় মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে । অনেকে কৌতুহল বশত ও প্রথমবার মাদক গ্রহণ করে থাকে ।
তবে যেভাবেই হোক কেউ একবার মাদক গ্রহণ করলে সেই আসক্তি থেকে বের হওয়া তার পক্ষে কঠিন হয়ে থাকে । সেই সুযোগে বিপথগামী কিছু মানুষ এবং বহুজাতিক মাদক সংস্থাগুলো অবৈধ অর্থের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকে ।
পাশ্চাত্যের মাদক উৎপাদনকারী ও ব্যবসয়ায়ীরা এশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলোতে ব্যবসা করতে বাংলাদেশকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করছে । করিডোর হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য অনেকটা সহজলভ্য । এই সুযোগে কিছু অসাধু লোক এখানে ও একটি মাদকের বাজার সৃষ্টি করেছে । এইসব খারাপ লোকের চেষ্টায় বর্তমান বাংলাদেশের মাদকাসক্ত লোকের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে গেছে । দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ে যাচ্ছে ।
মাদকাসক্তির কুফল : মাদকে আসক্ত ব্যক্তির বিবেক-বুদ্ধি লোপ পায় । ক্ষুধা-তৃষ্ণার অনুভুতি কমে যায় । নিদ্রাহীনতা দেখা দেয় এবং দেহের ওজন কমতে থাকে । হাসি-কান্নার বোধ ও বিচারবুদ্ধি কমে যায় । এক পর্যায়ে সে জীবন্মৃত অবস্থায় পৌঁছে যায় ।
মাদকের মূল্য বেশি হওয়ার খুব অল্প দিনেই মাদকাসক্তের সঞ্চিত অর্থ ফুরিয়ে যায় । তখন তারা অবৈধ উপায়ে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করে । ক্রমে চুরি ডাকাতি , ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে । মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা এভাবে নিজেদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির পাশাপাশি পরিবার ও সমাজের সুস্থতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ।
মাদকাসক্তদের নৈতিক অধঃপতন সমাজের অন্যদের মধ্যেও সংক্রমিত হয় । ফলে গোটা সমাজের পচন ধরতে শুরু করে । মাদকাসক্ত ব্যক্তি পরিবারিক ও দাম্পত্য কলহের কারণ হয় । অশান্তির জের ধরে বহু মাদকাসক্ত এক পর্যায়ে আত্নহত্যার পথ বেছে নেয় ।
পরিবার ও সমাজের জন্য সেই ক্ষতি অপূরণীয় । এছাড়া সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্য হলো , মাদকাসক্ত নারী-পুরুষের মধ্যে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী লোক সব থেকে বেশি । অথচ দেশের উন্নয়নমুলক কাজের জন্য এই বয়সী লোক সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত ।
আবার এই বয়সের নারীরাই সবচেয়ে বেশি প্রজননক্ষম । তাই এই বয়সের নারী পুরুষ মাদকাসক্ত হওয়ার অর্থ হলো , একদিকে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা , অন্যদিকে সুস্থ ভবিষ্যত প্রজন্মের সম্ভাবনাকে অক্কুরে বিনষ্ট করা । দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হয়ে যায় হ্রদরোগ হয়ে যায় ।

মাদক গ্রহণে ইসলাম : ইসলাম কখনো নেশা জাতীয় কোন কিছু সেবন গ্রহণ করেন না । যে ব্যক্তি নেশা করেন সে কখনো আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করতে পারেন না । এটা অনেক বড় একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ । মাদক সেবন করে আল্লাহর এবাদত করলে সেই ইবাদত কখনোই কবুল হয় না । এজন্য এসব নেশা জাতীয় সেবনে ইসলামে কঠুর নিষেধ আছে ।
মাদক গ্রহণে দৈহিক ক্ষতি : মাদকদ্রব্য দেহের নানা রকম ক্ষতি সাধন করে । মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে মানুষ ক্রমান্বয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে । রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয় । প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায় । যকৃত ও ফুসফুসের ক্ষতি , যক্ষ্মা ,ক্যান্সার , জন্ডিসের মতো প্রাণ্নাশা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে । কিডনি ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ে । রক্তস্বল্পতা হয়ে যায় ।
মাদকাসক্তির প্রতিকার : মাদকাসক্তির সর্বনাশা প্রভাব থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য বিশ্বজুড়ে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে । সকলেই ভাবছেন , কেমন করে করাল গ্রাস থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা যায় । ইতিমধ্যেই দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে ।
বাংলাদেশে ও মাদক বিরোধী একাধিক সংগঠন কাজ করছে । সরকারি ও বেসরকারি প্রচার মাধ্যম গুলোতে মাদক গ্রহণ ও বিস্তার প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচারণা লক্ষ করা যায় । সরকারের সমাজসেবা কর্ম সুচিতে মাদক প্রতিরোধ ও মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন কার্যক্রম চালু আছে ।
স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে । মাদকের হাত থেকে দেশের যুব সমাজকে বাঁচাতে একটি কার্যকর পদক্ষেপ হলো প্রচুর কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করা এবং সেখানে বেকারদের কাজের ব্যবস্থা করা ।
অন্তত বেকারত্বের হতাশা থেকে যেসব মাদকাসক্তির ঘটনা ঘটে এর ফলে তা দূর হবে । তবে সব চেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হলো মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানকে নির্মূল করা । এজন্য দরকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা রেখে কঠোর আইন প্রণয়ন করা এবং তা প্রয়োগ করে দেখানো ।
মাদকাসক্তির পরিনাম : কোন ভাবে একবার কেউ যদি মাদকাসক্ত হয়ে অচিরেই নেশা তাকে পেয়ে বসে । সে হয়ে পড়ে নেশার কারাগারে বন্দি । মাদকাসক্তির ফলে তার আচার আচরণে দেখা যায় অস্বাভাবিকতা । তার চেহারার লাবণ্য হারিয়ে যায় । আসক্ত ব্যক্তি ছাত্র হলে তার বই পড়ার কথা হারিয়ে ফেলে ।
পড়াশোনায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলে । মাদকের খরচ জোগাতে চুরি করা ইত্যাদি নতুন নতুন উপসর্গ দেখা দেয় । নেশার জন্য প্রয়োজনীয় ড্রাগ না পেলে মাদকাক্তরা প্রায়ই ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে । লোকের সঙ্গে এরা দুর্ব্যবহার করে থাকে সব সময় ।

মাদকের প্রভাবে রোগীর শারীরিক প্রতিক্রিয়াও হয় নেতিবাচক । তার মন শক্তি দুর্বল হতে থাকে । তার শরীর ভেঙ্গে পড়ে । ক্রমে স্নায়ু শিথিল ও অসাড় হয়ে আসে । এভাবে সে মারাত্নক পরিনতির দিকে এগিয়ে যায় । বিশ্বজুরে যে মাদকবিষ ছড়িয়ে পড়েছে তার থাবা থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে ।
উপসংহার : মাদকাসক্তির কারণে সমাজের কোনো এক জায়গায় অশান্তি সৃষ্টি হলে সেই অশান্তি গোটা সমাজকে গ্রাস করতে পারে । তাই মাদকাসক্তিকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয়ে মনে ক্রলে চলবে না । যে তরুণ সমাজ দেশের ভবিষ্যৎ ।
তরুণ সমাজ যদি সুস্থাতার মধ্যে দিয়ে বড় হয় তাহলেই তারা সুস্থ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবে অন্যথায় নয় । তাই মাদকের করাল গ্রাস থেকে দেশ ও সমাজকে বাঁচাতে হবে ।
আমাদের banglatipsbd সাইটে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে । আপনার সুন্দর একটা মতামত দিন আমাদের সাইট সম্পর্কে । আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কোন প্রকার হেল্প নিতে চান তাহলে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হয়ে থাকেন । আপনাদের মন চাইলে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখতে পারেন আর হ্যাঁ পারলে আমাদের ইউটুব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন । আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।