নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচি ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কত রাকাত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে , এই পোস্টটি আমাদের মুসলিম ভাইদের কিংবা বোনদের প্রত্যকের দৈনিন্দিন নামাজের সময় সূচি সংগঠিত করতে সাহায্য করার জন্য সংগ্রহ করে আজকের এই মূল্যবান পোস্টটি সাজানো হয়েছে । আমরা আপনাকে খুব সহজেই নামাজের সময়গুলী নিশ্চিত করে যে আপনি আর কখনোও নামাজ মিস করতে না পারে সেই জন্য আজকের এই আর্টিকেল ।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে ফেলেন তাহলে আপনি নামাজের শুরু এবং শেষ সময়ের জন্য আপনার আধ্যাত্নিক অনুশীলনের সাথে সহজ করে তুলতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ । আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কর্মক্ষেত্রে বা চলার পথেই থাকি না কেন , আমাদের নামাজের শুরু এবং শেষের সময় সূচি হলে আপনার নামাজের জন্য কিংবা আপনি আপনার সঙ্গিকে নামাজের কথা মনে করি দিতে পারবেন ।
এক নজরে দেখে নিন
- নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচি
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কত রাকাত
- ফজরের নামাজের সময়
- ফজরের নামাজের শেষ সময়
- ফজরের নামাজ কয় রাকাত
- ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত
- ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত
- যোহরের নামাজের সময় শুরু ও শেষ সময়
- যোহরের নামাজ কয় রাকাত
- যোহরের চার রাকাত সুন্নতের নিয়ত
- যোহরের চার রাকাত ফরজের নিয়ত
- যোহরের দুই রাকাত সুন্নতের নিয়ম
- যোহরের দুই রাকাত নফলের নিয়ম
- আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ
- আসরের নামাজ কয় রাকাত
- আসরের চার রাকাত সুন্নতের নিয়ম
- আসরের চার রাকাত ফরজের নিয়ম
- মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ সময়
- মাগরিবের নামাজ কয় রাকাত
- মাগরিবের তিন রাকাত ফরজের নিয়ত
- মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নতের নিয়ত
- এশার নামাজের সময় শুরু ও শেষ
- এশার নামাজ কয় রাকাত
- এশার চার রাকাত সুন্নতের নিয়ত
- এশার চার রাকাত ফরজের নিয়ত
- এশার দুই রাকাত সুন্নতের নিয়ত
- এশার দুই রাকাত নফল এর নিয়ত
- এশার তিন রাকাত বেতের নামাজের নিয়ত
- এশার নামাজ ৯ রাকাত কি কি
নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচি
নতুন বছরের মে মাসের আজকের ২৩ তারিখে নামাজের সময় সুচি নিয়ে আজকে আপনাদের সামনে হাজির হইলাম । আমরা নামাজের সঠিক সময় নিয়ে বিস্তারিত আলো আচোনা করবো । এই জন্য আপনি ধর্য্য সহকারে পড়তে থাকুন ।
ফজরের নামাজের সময়
আজকের ফজরের নামাজের সময় নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৪ টা বাজে ১৫ মিনিটে । আমরা অনেকেই ফজরের নামাজ এর সময় মতো পড়তে পারি না । তাই আজকে আমরা জানলাম যে ফজরের নামাজের সময় বা ফজরের ওয়াক্ত কখন শুরু হবে । আমাদের এই জন্য ফজরের নামাজ পড়ার জন্য আমাদের ৩টা বাজে ৩০ মিনিটের মধ্যে উঠতে হবে ।
ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়ার সময় আমাদের প্রত্যকের ফজরের নামাজ এর সময় শুরু হওয়ার আগে উঠে আমাদের নামাজের জন্য রেডি হতে হবে । একটি কথা বলে রাখা ভালো যে ফজরের নামাজ পড়ার ফলে আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ে । এই জন্য আমরা কখনোই ফজরের নামাজ বাদ দিবো না । যদি না নিজের চেহারার উজ্জ্বলতা হারাতে না চাই , তাহলে আমরা কখনো অকারণে ফজরের নামাজ মিস করবো না ।
ফজরের নামাজের শেষ সময়
ফজরের নামাজের শেষ সময় ঠিক ভোর ৫ টা বেজে ৩৫ মিনিট । আমরা যদি ফজরের নামাজ মিস না করি তাহলে ফজরের নামাজের শেষ সময় দিয়ে কি করবো । তাই না , নামাজ পড়তে শুরু করলে একবার নামাজ বাদ দিতে চাবেন না যদি আপনি সঠিক নিয়মে নামাজ পড়েন ।
ফজরের নামাজ কয় রাকাত
ফজরের নামাজ মোট চার রাকাত । ফজরের নামাজ দুই রাকাত এবং ফজরের দুই রাকাত সুন্নত । ফজরের নামাজ শুরু হয় সুবহে সাদিক হইতে আরম্ভ শুরু হইয়া সূর্যোদয়ের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত ফজরের নামাজের ওয়াক্তের সময় থাকে ।
ফজরের নামাজ রাত্রি শেষে পূর্বাকাশে যে একটি সাদা আলোর মত দেখা যায় । এই সাদা আলোর পরে আর কোন অন্ধকার হয় না বলে এহাকেই সুবহে সাদেক বলে । ফজরের নামাজ এই নির্ধারিত সময়ে মধ্যেই পড়তে হয় ।
ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকআতাই সালাতিল ফাজরে সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তায়ালে মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করিবারা জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবার ।
ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাক আতাই সালাতিল ফাজরে আল্লাহ তাআলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করিবারা জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবার ।
যোহরের নামাজের সময় শুরু ও শেষ সময়
যোহর নামাজের সময় শুরু ও শেষ সময় আমরা অনেকেই জানি না । যারা জানি না তাঁদের জন্য আজকের এই পোস্টটি । আসুন জেনে নেই যোহরের নামাজ কখন সময় শুরু হয় । ঠিক দুপুরে সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে একটু হেলে পড়ে ঠিক তখনি যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয় ।
হ্যাঁ যোহরের ওয়াক্ত তো শুরুর সময় জানলাম তাহলে এখন কখনো সময় শেষ হবে আসুন জেনে নেই খুব সহজে । পশ্চিমে আকাশে যখন সূর্য হেলে পড়ে আপনার ছায়া কিংবা কোনো একটি বস্তুর ছায়া যদি দ্বিগুন হয়ে যায় তার আগ পর্যন্ত যোহরের ওয়াক্তর সময় থাকে ।
কোনো বস্তু বা নিজের ছায়া দুপুর সময় যেমন ক্ষুদ্র ছিলো তখন তাকে বলা হয় আসলি । আমরা সর্বদা চেষ্টা করবো নিজের ছায়া বা বস্তুর ছায়া দ্বিগুন হওয়ার আগ পর্যন্ত যত তাড়াতাড়ি সময় নামাজ পড়ে ফেলবো । যোহরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয় আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ সময় নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ।
যোহরের নামাজ কয় রাকাত
ফজরের নামাজের পরের চলে আসে যোহরের নামাজের ওয়াক্ত । যোহরের নামাজ দুপুরে পড়তে । বাংলাদেশ টাইম অনুসারে যোহরের নামাজ একটার দিকে পড়তে হয় । একটা বাজেলেই মসজিদের মাইকে আযান পড়ে । যোহরের নামাজে ১২ রাকাত ।
যোহরের নামাজের চার রাকাত সুন্নত , চার রাকাত ফরজ , দুই রাকাত সুন্নত এবং দুই রাকাত নফল এই মোট বারো রাকাত । সুর্য যখন মাথার উপর থেকে একটু পশ্চিম পাশে হেলে পড়বে তখন যোহরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় । এবং কোন বস্তুর ছায়া তার দ্বীগুন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময় থাকে । যোহরের নামাজ এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পড়তে হবে ।
যোহরের চার রাকাত সুন্নতের নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তাআলা মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
যোহরের চার রাকাত ফরজের নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল মুসলিম ফারযুল্লাহি তাআলা মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে যোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
যোহরের দুই রাকাত সুন্নতের নিয়ম
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি যুহরি সুন্নাত রাসুলিল্লাহি তাআলা মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে যোহরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
যোহরের দুই রাকাত নফলের নিয়ম
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে যোহরের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ
আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ আমরা অনেকেই জানি না । আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় যোহরের ওয়াক্ত যখন শেষ হয় ঠিক তখন থেকেই আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত থাকে। তবে সূর্যের রঙ হলুদ হওয়ার আগেই আগেই আসরের সালাত আদায় করা উচিত । আসরের ওয়াক্ত শুরু হয় বিকেল ৪ টা বাজে ৩৫ মিনিটে । আসরের নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয় ৬ টা বাজে ৫২ মিনিটে ।
আসরের নামাজ কয় রাকাত
যোহরের নামাজের শেষ হওয়ার পরেই আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় । আসরের নামাজ মাত্র চার রাকাত । তবে আসরের নামাজ সবাই চার রাকাত করেই পরে । আসরের সালাত আদায় করার মাধ্যমে একবা বিশেষ দোয়া করে সবাই । আর এজন্যই প্রত্যক মুসলিম বিশেষ করে আসরের সালাত আদায় করে ।
আসরের নামাজ আট রাকাত , চার রাকাত সুন্নত এবং চার রাকাত ফরজ নামাজ । বিকালের দিকে আসরের নামাজ শুরু হয় এবং তখনই ঠিক তখনি আযান দেওয়ার মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে আসরের নামাজের সময় শুরু হয়েছে ।
আসরের চার রাকাত সুন্নতের নিয়ম
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল আসরি সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তাআলা মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে আসরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
আসরের চার রাকাত ফরজের নিয়ম
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি তাআলা মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ সময়
মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় আসরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার সাথে সাথে । মাগরিবের ওয়াক্ত শুরুর সময় ৬.৩৩ মিনিটে এবং মাগরিবের ওয়াক্ত সময় শেষ হয় ৬.৫৩ মিনিটে ।
মাগরিবের নামাজ কয় রাকাত
মাগরিবের নামাজ সন্ধ্যার দিকে আদায় করতে হয় । সূর্যোস্তের সময় পশ্চিম আকাশে লাল লালিমা থাকা অবস্থায় মাগরিবের নামাজ আদায় করতে হয় । মাগরিবের নামাজ সাত রাকাত । মাগরিবের নামাজের প্রথম তিন রাকাত ফরজ নামাজের পরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ এবং বাকি দুই রাকাত নফল নামাজ ।
মাগরিবের তিন রাকাত ফরজের নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা সালাছা রাকআতাই ছালাতিল মাগরিবি তাআলা মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নতের নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিন্নাফলি মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
এশার নামাজের সময় শুরু ও শেষ
এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিটে এবং এশার নামাজের ওয়াক্তের শেষ সময় রাত ১১.৫৫ মিনিট । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে সব থেকে বেশি সময় পাওয়া যায় এশার সালাতে । এই সালাত আদায় করতে সময় লাগে সব থেকে বেশি সময় ।
এশার নামাজ কয় রাকাত
এশার নামাজ মোট ১৫ রাকাত নামাজ । প্রথম চার রাকাত সুন্নত নামাজ , পরের চার রাকাত ফরজ নামাজ , ফরজ নামাজের পরে আবার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ , পরের দুই রাকাত নফল নামাজ , তার পরে তিন রাকাত বেতের নামাজ আদায় করতে হয় ।
এশার চার রাকাত সুন্নতের নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল এশায়ী সুন্নাত রাসুলিল্লাহি তাআলা মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে এশার চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
এশার চার রাকাত ফরজের নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল এশায়ী ফারদুল্লাহি তাআলা মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
এশার দুই রাকাত সুন্নতের নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল এশায়ী সুন্নাত রাসুলিল্লাহি তাআলা মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
এশার দুই রাকাত নফল এর নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল এশায়ী সুন্নাত রাসুলিল্লাহি তাআলা মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
এশার তিন রাকাত বেতের নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল বিরতি ওয়াজিউল্লাহি তাআলা মোতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর । বাংলা অর্থ : আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহুর উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে এশার তিন রাকাত বেতের নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবর ।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কত রাকাত
নামাজ বেহেস্তের চাবি । তাই আমরা সর্বদা চেষ্টা করবো নামাজ আদায় করার জন্য । মুসলিম জাতির উপরে নামাজ এমন একটি ইবাদত যার মাধ্যমে মনে প্রশান্তি লাভ হয় । নামাজের মাধ্যমে কেউ আর অন্যায় কিছু করতে পারে না । নামাজ খারাপ কাজ কে বিরত রাখে । তাই আময়া নিজের যে কোন মুহুর্তে আসুক না কেন আমরা নামাজ কখনো মিস করবো না ।
নামাজের মাধ্যেমে আমাদের জীবনের সকল পাপ কাজকে মুছে ফেলে দিতে পারি । নামাজের মাধ্যমে সকল দঃখ কষ্ট গুলো চোখের পলকেই ভুলে যাওয়া সম্ভব । যেসব মুসলিম ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে তারা খুবই শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারে । সালাত শান্তির প্রতীক ।
নামাজ এমন একটি ইবাদত যার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই মহান আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করতে পারি । নামাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের কথা খুব সহজেই মহান আল্লাহর কাছে প্রকাশ করতে পারি । এমনিতেই আমাদের মনের কথা আল্লাহ তায়ালা আগে থেকেই জানে ।
কিন্তু আমরা নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রকাশ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাবো যাতে আমাদের মাফ করে দেয় । আর নামাজ আদায় কারীকে মহান আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করে । এজন্যই প্রত্যকে মুসলিম ভাইবোনেরা নামাজ আদায় করে । নামাজ নিশ্চয় একটী অমূল্য শান্তির জিনিস ।
এশার নামাজ ৯ রাকাত কি কি
এশার নামাজ ৯ রাকাত কি কি ? এই সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত জানবো । এশার নামাজের ফরজ হলো চার রাকাত , বিতের নামাজ তিন রাকাত , ২ রাকাত সুন্নত মুয়াক্কাদা এই আপনার ৯ রাকাত । এটা নারী পুরুষ সবার জন্য প্রযোজ্য । যদি কেউ ফরজের আগে ৪ রাকাত সুন্নতে যায়েদা আদায় না করে তাতে অপরাধ নেই । কিন্তু আগে যদি ৪ রাকাত সুন্নতে যায়েদা আদায় করে তাহলে সেই অতিরিক্ত সওগাত সে পাবে ।
আমাদের banglatipsbd সাইটে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে । আপনার সুন্দর একটা মতামত দিন আমাদের সাইট সম্পর্কে । আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কোন প্রকার হেল্প নিতে চান তাহলে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হয়ে থাকেন । আপনাদের মন চাইলে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখতে পারেন আর হ্যাঁ পারলে আমাদের ইউটুব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন । আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।