আমাদের মধ্যে অনেকেই দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় , হাই প্রেসার এর লক্ষণ, হাই প্রেসার কমানোর খাবার , হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত কিংবা হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় বা হাই প্রেসারের ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেট খোঁজাখুঁজি করে আমাদের সাইটে এসেছেন মানে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন । আজকে আমরা এই সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ।
উচ্চ রক্তচাপ একটি মারাত্মক বিপজ্জনক শারীরিক অবস্থা । যা মানব দেহের ধনমীর দেয়ালের বিরুদ্ধে কাজ করার ফলে রক্ত চাপের শক্তি ক্রমাগতভাবে তুলামূলক বেশি হওয়ায় নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয় । মনে রাখবেন উচ্চ রক্তচাপের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী যত্নের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রদ্ধতি অবল্বন করতে হবে ।
আমাদের সবার অতিপরিচিত একটি শারীরিক সমস্যা হলো হাই প্রেসার কিংবা উচ্চ রক্তচাপ । চিকিৎসকের ভাষায় বলে অতিরিক্ত মাত্রায় হাই প্রেসার বেড়ে যায় যার ফলে হ্রদরোগ কিংবা স্ট্রোক এমন কি কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে ।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ রোগীই প্রথম বা প্রাথমিক অবস্থায় হাই প্রেসার সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারে না । ফলে এই পরবর্তীতে মারাত্মক জীবন হ্রাসের ঝুঁকিতে পড়ে যায় । যে সকল ব্যক্তির হাই প্রেসার আছে তাদের জীবন অনেক কঠিন হয়ে গেছে ।
হাই প্রেসার রোগীদের একটি নিয়মের মধ্যেই সব সময় থাকতে হয় । যদি তারা এই নিয়মের বাইরে চলে যায় তাহলে তাদের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয় এমন কি হাই প্রেসার থেকে নানান ধরণের রোগের সৃষ্টি হয় । তাহলে চলুন আগে আমরা জেনে নেই হাই প্রেসার এর লক্ষণ গুলো কি কি ?
হাই প্রেসার এর লক্ষণ
হাই প্রেসার রোগ সাধারণত খুব নীরবে রোগীকে আঘাত হানে , যা আমাদের মধ্যে অনেকেই এর লক্ষণগুলো ধরতে পারি না । হাই প্রেসার রোগের লক্ষণ গুলো রোগীর মধ্যে প্রকাশ পেতে অনেক সময় লেগে যায় ।
হাই প্রেসারের লক্ষণ গুলো সাধারণত রোগীর স্থায়ীভাবে চোখ , মুখে প্রকাশ পায় । হাই প্রেসারের সাধারণত ভাবে লক্ষণ গুলো দেখা যায় না । কিন্তু কিছু সাম্যাপ্ত সময়ে বা অতিরিক্ত রক্তচাপ হতে পারে । কিছু কিছু মানব দেহের অবস্থা হতে পারে যেগুলো হাই প্রেসারের সাথে সম্পর্কিত । আসুন জেনে নেই হাই প্রেসার এর লক্ষণ গুলো কি কি?
মাথা ব্যাথা : হাই প্রেসার থাকলে মাথায় ব্যাথা কিংবা বুকে মাথার পিছন দিয়ে একটি ব্যথা অনুভব হবে ।
চোখে ব্যথা এবং ধুব : হাই প্রেসার রোগীর চোখে ব্যথা এবং ধুব সৃষ্টি করতে পারে , যা মুখে চোখের পূর্বাঞ্চলের জন্য হতে পারে ।
মাথা ঘোরানো : কিছু মানুষের হাই প্রেসার হলে তাদের মাথা ঘোরানো অনুভব করতে পারে ।
শ্বাসকষ্ট : হাই প্রেসার রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে অনুভব করতে পারে । নিজেদের হাট উচ্চ গতিতে কম্পন করছে তা বুঝতে পারবে ।
দৃষ্টির সমস্যা : হাই প্রেসার রোগীর রক্ত দানের ক্ষতি হতে পারে এমন কি এটি দৃষ্টির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে ।
অতিরিক্ত কোমর কিংবা হাড়ের ব্যাথা : হাই প্রেসার রোগীর কোমর কিংবা হাড়ের ব্যাথা হচ্ছে এমন অনুভব করা ।
বমি বমি ভাব : হাই প্রেসার রোগীদের বিনা কারণে বমি বমি ভাব হচ্ছে এমন অনুভব করা ।
মাঝে মাঝে কানে শব্দ হওয়া : হাই প্রেসার রোগীদের হাঠাত করে কানে মধ্যে শব্দ হচ্ছে এমন অনুভব করা ।
অল্পতেই অস্থিরতাভাব এবং রেগে যাওয়া : হাই প্রেসার রোগীদের কোন কিছু করার আগেই অস্থিরতা ভাব চলে আসে এবং কোন কিছু হওয়ার আগেই প্রচন্ড আকারে রেগে যায় ।
প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া : হাই প্রেসার রোগী প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া ।
চোখে ঝাপসা দেখা : হাই প্রেসার রোগী বেশি দুরের জিনিস দেখতে পায় না ভালো মত ঝাপসা ঝাপসা দেখে এমন অনুভব করা ।
ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক না থাকা ।
হাই প্রেসার রোগী মাঝে মাঝে অজ্ঞান হয়ে যায় ।
এই লক্ষণ গুলোর জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকুন কারণ যে কোন সময়ে হাই প্রেসার কিছুটা সময়ের মধ্যেই এই সব সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে । এই সব লক্ষণ গুলো ভালো ভাবে জেনে রাখলে আপনার জীবন সুরক্ষা রাখতে পারবেন । আসুন আমরা সবাই নিজেদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখি এবং নিয়মিত চেকআপ করি ।
ব্লাড প্রেসার মাপার নিয়ম
আমাদের শারীরিক কিছু লক্ষণ আছে যে গুলো দেখলেই আমরা বুঝতে পারবো যে আমাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ হচ্ছে । আমাদের মধ্যে কারো যদি হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের কোন লক্ষণ দেখতে পাই তাহলে সবার আগে আমরা আমাদের ব্লাড প্রেসার মাপ দিব ।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা হাই প্রেসার কত কিংবা ব্লাড প্রেসার মাপার নিয়ম জানি না । আসুন তাহলে আমরা আজকে জেনে নেই কি ভাবে ব্লাড প্রেসার মাপার নিয়ম তা কিছু ধাপের মাধ্যমে শেষ করতে হয় তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সকল ধাপ গুলো কি কি?
১. আপনি যদি নিজের ব্লাড প্রেসার মাপতে চান তাহলে আপনাকে চেয়ারের পেছনে হেলান দিয়ে বসতে হবে । আপনি চাইলে টেবিলের ওপর হাত রেখে মাপতে পারেন কিন্তু আপনাকে টেবিলের উপর এমন ভাবে হাত রাখতে হবে সেই হাত যেন হাটের সমতলে থাকে এবং আপনাকে অবশ্যই ঢিলেঢালা জামা-কাপড় পরিধান করতে হবে ।
২. রক্তচাপ মাপার জন্য যে কাপ ব্যবহার করা হয় , তা কুনুই হতে ২.৫ সেন্টিমিটার উপরে বাধতে হবে । এমনভাবে বাঁধতে হবে যাতে হাতে ব্যাথা না পাই । একদম আলতো করে হাত বাঁধতে হবে ।
৩. কুনুই এর উপরের অংশে ধমনীর অবস্থা নির্ণয় করার পরে স্টেথোস্কোপ এর ডায়াগ্রাম রাখতে হবে । ডায়াগ্রাম কাপড়ের উপরে না রেখে শরীরের উপরে রাখবেন । কাপড়ের উপর রাখলে অনেক সময় শব্দ শুনতে অসুবিধা হয় ।
৪. হার্টের সমতল মিটার স্কেল রাখতে হবে ।
৫. ব্লাড প্রেসার মাপার সময় একটি হাত ধমনীর উপর ডায়াগ্রাম রাখতে হবে এবং অপর হাত দিয়ে ব্লাডার ফুলাতে হবে । চাপ দিয়ে এ পাম্পের সৃষ্টি করতে হবে এবং এ কাজ চালিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না পালস বন্ধ হয়ে যায় । সেই সাথে হার্টের স্পন্দন স্টেথোস্কোপ এর মাধ্যমে কানে শোনা যায় ।
৬. প্রথমবার করে ছেড়ে দিতে হবে এবং পরবর্তীতে আরো একবার করে দেখতে হবে তখন যদি মিটার স্কেলের পারদ ১২০/৮০ হয় তাহলে আপনার ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক আছে । কিন্তু এর বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপ এবং কম হলে নিম্ন রক্তচাপ হয় ।
আমরা এখন সবাই বলতে পারি যে এখন আমরা নিজেরাই খুব সহজে ব্লাড প্রেসার মাপতে পারবো । এখন আমরা নিজেরাই ব্লাড মেপে বলতে পারবে আমাদের ব্লাড প্রেসার বেশি না কম নাকি স্বাভাবিক আছে ।
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় আমরা অনেকেই জানি না । হঠাৎ হাই প্রেসার হলে প্রথমেই চিন্তিত না হয়ে শান্ত হয়ে কোন এক জায়গায় বসে পড়ুন । কোন ভাবেই আপনাকে ঘাপড়ানো যাবে না । ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পর কয়েক বার প্রেসার মেপে দেখুন প্রেসারের অবস্থান নিয়ন করুন ।
যদি আপনার প্রেসার উপরের দিকে চাপ অথাত ১৬০ থেকে ১৮০ এর বেশি হয় কিংবা নিচের চাপ ১২০থেকে ৮০ এর নিচে চলে আসে তাহলে আর দেরী করা যাবে না । খুব দ্রুত একজন রক্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হবে ।
এক্ষেত্রে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ডাক্তার দেখাচ্ছেন সে কি রক্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাকি , না হলে খুব দ্রুত আপনার কোন কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে উমারজেন্সি বিভাগে ভর্তি করতে হবে । সেখানে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলবে ।
হাই প্রেসার কমানোর উপায় আছে যা কয়েক মিনিটের মধ্যেই রক্তচাপ সাময়িভাবে কামানো যায় কিছু বিশেষ উপায়ে । আপনি যদি এই সেই সকল উপায় গুলো অব্লব্বন করেন তাহলে অবিলম্বে আপনার রক্তচাপ কমাতে পারবেন । তাহলে আসুন দেখে নেই হাই প্রেসার কমানোর উপায় কি কি পদ্ধতি আছে ।
১. একটি উষ্ণ পানি দিয়ে স্নান বা ঝরনার নিচে দাঁড়িয়ে ১৫ থেকে ২৫ মিনিট গোসল করতে হবে । এটি পেশীর টান কমাতে অনেক সাহায্য করে ।
২. একটি শ্বাস প্রসাস ব্যায়াম এর মাধ্যমে আপনার রক্তচাপ কমাতে পারেন । এর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি গভীর শ্বাস নিতে হবে । যা প্রায় কিছু সময়ের জন্য আপনার শ্বাস ধরে রাখবেন তার পরে ধির ধিরে শ্বাস ছাড়বেন ।
৩. শিথিল বা স্ট্রোক হলে উচ্চ রক্তচাপের মূল অবদানকারী একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে শিথিল । এটি করার জন্য একটি শান্ত ঘরে কয়েক মুহুর্তের জন্য একা বসে থাকুন । ভালো না লাগলে ব্যায়াম বা বই পড়ুন কিংবা ধ্যান করতে পারেন ।
উপরের এই লক্ষণ গুলোর মধ্যে যদি একটি আপনি খুব দ্রুত করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমে আসছে । তাহলে দেখবেন আপনি হাই প্রেসার কমানোর পেরেছেন আর যদি কোন কারণে মনে হয় আপনি আরো দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় লাগবে তাহলে খুব মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন ।
হাই প্রেসার কমানোর খাবার
হাইপারটেনশন বন্ধ করার জন্য ডায়েটারি অ্যাপ্রোচেস নামক একটি প্রোগ্রামকে অনেক রক্তচাপ পরিচালনা এবং কমানোর ক্ষেত্রে সেরা ডায়েট বলে মনে করতে হবে । হাই প্রেসার কমানোর খাবার তালিকায় কিছু খাবার যোগ করতে হবে । আসুন জেনে নেই সেই সকল খাদ্যের তালিকা ।
১. সবুজ সবজি ও ফল : সবুজ সবজি এবং ফল হাই প্রেসার কমাতে সাহায্য করে । কারণ এগুলো পুরস্কৃত খনিজ , ভিটামিন এবং এন্টি অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে থাকে ।
২. মাছ ও মাংস : অমেগা-৩ ফ্যান্টি এসিড ধারণ করা যায় মাছ এবং কোনও ধরনের মাংসে । এটি হাই প্রেসার কমাতে সাহায্য করতে পারে । মাছ-মাংস হ্রদয় স্বাস্থ্যের উপকারী হতে পারে ।
৩. দুধ এবং দুধ প্রোডাক্ট : দুধ, দই এবং চিজে অধিক ক্যালসিয়াম থাকতে পারে এবং এটি প্রকাশে আসা হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।
৪. ধান, পুলস এবং অন্যান্য পূর্ণ অনু খাদ্য অভ্যাস : পূর্ণ অনু খাদ্য অভ্যাস ধান , পুলস ,বাসমতি চাল এবং অন্যান্য পূর্ণ অনু সরবরাহ করে যা হাই প্রেসার কমাতে সাহায্য করে ।
৫. অলিভ অয়েল : অলিভ অয়েলে আমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং অন্যান্য সুস্থ তেল থাকতে পারে যা কি না হাই প্রেসার কমাতে সাহায্য করে ।
৬. নারকেল এবং লবন নিয়ে চুলার প্রবাহ বাড়ানো : অনেক প্রচুর ধরনের নারকেল এবং অল্বার্ক ওয়াল হাই প্রেসার কমাতে সাহায্য করে থাকে ।
৭. ডিমের সাদা অংশ খেতে হবে ।
৮. আচার এবং জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে ।
এই সকল খাদ্যভ্যাসের সাথে সম্মিলিত হয়ে হাই প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করতে রাখা হয় । তবে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা এবং নির্দিষ্ট চিকিৎসার প্রয়োজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
মনের ভুলেও এই সকল খাদ্য খাওয়া যাবে না । যা খেলে আপনার হাই প্রেসার আরোও হাজার গুণ বেড়ে যাবে তাহলে আসুন জেনে নেই হাই প্রেসার কমানোর খাবার খাওয়া যাবে না । এই নিয়ম গুলো কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে ।
- চিনি
- লবণ
- কার্বোহাইড্রেট
- ক্যাফেইন
- অ্যালকোহল
- প্রক্রিয়াকরন খাবার
- স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার
উপরে খাবার গুলো বর্জন করুন তাহলে দেখবেন আমার উচ্চ রক্ত চাপ কমে গেছে । আর রক্ত চাপ কমে যাওয়া মানেই হাই প্রেসার কমে যাওয়া । উচ্চ রক্তচাপ খুব বেশি বেড়ে গেলে শরীরের নানা ধরনের জটিলতা তৈরি করে । যাদের উচ্চ রক্তচাপ বেশি তাদের অনেক সময় নিয়মিত ঔষুধ খেয়েও কমে না । তাদের জন্য নিয়ে এসেছি হাই প্রেসার কমানোর সহজ উপায় ।
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
মানসিক চাপ শরীরের পেশিগুলোকে চাপের ফলে মুখে ফেলে দেয় । যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কয়েক গুন বেড়ে যায় । তাই যতটা সম্ভব মানসিক চাপ থেকে ১০০ গজ দূরে থাকুন । মানসিক চাপ সম্পূর্ণভাবে দূর করা সম্ভব না । কিন্তু নিয়মিত কিছু মেডেসিন খেলে আর কিছু নিয়ম মেনে চললে রক্তচাপ ও মানসিক চাপ দুটোই দূর করা সমম্ভব ।
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় নিয়ে আজকে মুলত আমাদের বিশেষ আলোচনার বিষয় । সবাই এই বিষয়টি নিয়ে দ্বিধা দন্দে আছেন । আশা করি এই পোস্ট পড়ার পড়ে আর কোন আপনার মনে দ্বিধা দন্ধো থাকবে না ।
আসল কথা হলো আমাদের রক্তচাপ কমাতে সব থেকে বেশি সময় দিতে হবে । মানব দেহের বিশেষ করে হাই প্রেসার দ্রুত সমাধান বা কৌশল নিলে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা বেশি আসংখ্যা দেখে দেয় ।
খুব দ্রুত রক্তচাপ কমানো দেহের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে । দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর চেষ্টা করলে আপনার হাই প্রেসার কমার চেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে । ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর চিন্তা ভাবনা করবেন না ।
বেশিরভাগ জীবনধারা পরিবর্তন এবং চিকিৎসার সাথে যুক্ত থাকুন , আপনার রক্তচাপ কমবে । আসুন জেনে নেই সেই সকল বিষয় গুলো ?
- শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যায়াম অনুশিলন করা যা আপনার হ্রদস্পন্দনকে ধীর করে দেয় এবং শিথিলতা বাড়ায় ।
- শুয়ে শুয়ে ১৫-৩০ মিনিট বিশ্রাম নিন ।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন ।
- ওজন কমানোর চেষ্টা করুন ।
- একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়ার অভাস করুন ।
- ধূমপান পরিহার করুন ।
- বেশি করে পানি পান করুন ।
- লবণ পরিহার করুন ।
- দিনে একটি করে কলা খাওয়ার অভাস গড়ে তুলুন ।
- অ্যালকোহল পান সীমিত করুন ।
- মেদিটেশন এবং রিল্যাক্সেশন স্বাস্থ্যকর হ্রদয়ের জন্য ভালো এবং এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
আপনি কি রক্তচাপ নিয়ন্ত্র করতে একেবারেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন তাহলে উপরে লেখাগুলো আবার পড়ে আসুন সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে । উপরের নিয়ম গুলো মেনে চললে ৮০% সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন ।
আমাদের banglatipsbd সাইটে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে । আপনার সুন্দর একটা মতামত দিন আমাদের সাইট সম্পর্কে । আপনাদের মন চাইলে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখতে পারেন আর হ্যাঁ পারলে আমাদের ইউটুব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন । আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।