দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়, দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ ও ডায়াবেটিস এর লক্ষণ জানতে অনেকেই চায় । তাই তাদের কথা চিন্তা করে আজকে আমরা এই সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো । তাই আপনাদের বলছি শেষ পর্যন্ত মনোযোগসহ কারে পড়লে আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবনে কিভাবে ডায়াবেটিস দুর করা যায়। বর্তমান বিশ্বে যে হারে ডায়াবেটিস বাড়ছে তাতে মানুষ আতঙ্গ হয়ে পড়ছে ।
বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে নিঃশব্দ ঘাতকের মতো ছড়িয়ে পড়েছে ডায়াবেটিস । ডায়াবেটিস জিনগত হলেও টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা তুলামুলক হাজার গুণ বেশি । বাংলাদেশে ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯৭ শতাংশই হবে । টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধযোগ্য ।
নিজের অজান্তে ডায়াবেটিস আমাদের শরীরে কোপ দিয়ে আমাদের কিডনি , হার্ট , চোখ ও লিভারের মত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নষ্ট করে দিচ্ছে । যে কোন কারণে পরবর্তীতে শারীরিক জটিলতা হলে কিংবা কঠিন কোন মাল্টি অর্গ্যান হলে ফিরে আনা সম্ভাবনা থাকে । কিন্তু ডায়াবেটিস রোগ থাকলেও শরীরের যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে তাহলে ডায়াবেটিস কমানো যায় ।
ডায়াবেটিস রোগ হলে সবার আগে নিজেকে রক্ষা করতে হবে মানে নিজেকে সাবধানে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ঠিক মত পদক্ষেপ নিলে এ রোগকে অনেক বিলম্বিত করা সম্ভব । রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের সহজ কিছু টিপস আছে যা নিয়মিত মেনে চললে নিজেরাই এই সমস্যা সমাধান করতে পারবেন ।
যখন কারোও ডায়াবেটিস হয় তখন সে ব্যক্তির শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ ধিরে ধিরে কমে যায় । ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যাওয়ার ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না । ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় ।
অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীর থেকে বের হয়ে যায় প্রস্রাবের মাধ্যমে । প্রস্রাবের মাধ্যমে গ্লুকোজ বের হয়ে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে । এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি প্রকাশিত হয় । জীবনযাত্রার অনিয়ম অস্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চার অভাব এই রোগের প্রধান কারণ হয়ে থাকে ।
নিউ ইয়র্কের ওয়েল কর্নেল মেডিক্যাল কলেজের একটি গবেষনা থেকে দেখা গেছে যে , সঠিক খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কোন ক্রমে সেই খাবার খাওয়া হচ্ছে তার উপরেও রক্তের শর্করা পরিমাণ অনেক বেশি নির্ভর করে ।
গবেষকদের দাবি যে , কার্বোহাইড্রেট প্রথমে খেলে রক্তে শর্করা পরিমাণ যতটা বৃদ্ধি পায় তার চেয়ে বেশি পরিমাণ শাক-সবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য খেলে হাজার গুণ কম থাকে রক্তে শর্করা মাত্রা । প্রোটিন ও শাক-সবজি খেলে আধা ঘন্টা কিংবা এক থেকে দুই ঘন্টা বা তারও পরে রক্তে শর্করা মাত্রা কম থাকে যা যথাক্রমে , ২৯ ,৩৭ ও ১৭ শতাংশ ।
শর্করা মাত্রানিয়ন্ত্রণই নয় শুধু আপনি কোন ক্রমে খাবার খাচ্ছেন তার প্রভাব পড়ে বার্ধক্যজনিত লক্ষন , দেহের ওজন ও হরমোনের ভারসাম্যের উপরে । গবেষকদের দাবি যে , প্রোটিন এবং শাক-সবজি আগে খেলে শর্করা জাতীয় খাদ্যের আগেই শরীরে পৌঁছে যাবে ।
ফলে পরিপাকের গতি ধীর কিন্তু স্থির হয় এবং আচমকা দেহের শর্করা মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুকি হাজার গুণ বেশি থাকে না । এই সকল পদ্ধিতে আপনি যদি খাবার খান তাহলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে । ফলে কমে যাবে প্রদাহ ও ভালো থাকবে আপনার ত্বক ।
চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে খুব কম । প্রতিদিনের অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া , মাত্রাতিরিক্ত ফাস্টফুড , চিনি , কার্বোহাইড্রেট খাওয়া এই সকল কিন্তু বাড়িয়ে দেয় ডায়াবেটস রোগের সম্ভাবনা । যেমন ডায়াবেটিসের সমস্যায় আগেই আনতে হবে রাশ ঠিক তেমনি আনতে হবে খাদ্যভাসেও পরিবর্তন ।
ডায়েট কন্টোলে এমন কিছু খাদ্য রাখতে হবে যা রক্তের শর্করা বর্ধিত স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে । দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় নিয়ে এসেছি আমরা একটি জাদুকারী মন্ত্র । আসুন জেনে নেই দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর জন্য কি কি খাদ্য খেতে হবে ।
তার আগে জেনে নেই কি কারণে ডায়াবেটিস রোগ হয় । অনেক কারণের বিভিন্ন মানুষের ডায়াবেটিস বেড়ে যায় কিংবা নতুনদের ডায়াবেটিস রোগ আক্তান্ত করতে পারে । আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ গুলো কি কি ?
ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ
ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ গুলো আছে একাধিক কিন্তু সামান্য পার্থক্য এবং জন্মকে নিয়ন্ত্রণ না করার সাথে সম্বন্ধিত হতে পারে । ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হলো প্রধান দুটি যাকে মুখ্য বলে গণ্না করা হয় ।
১. টাইপ ১ ডায়াবেটিসঃ টাইপ ১ ডায়াবেটিসের মুখ্য কারণ হলো শরীরে খোকনী তন্ত্রে ইনসুলিন উতপাদনের সমস্যা হয়ে থাকার কারণে হয় । এটি আপনার নিজের শরীরের প্রতি আপনার অস্তিত্বের প্রতি রোগকারী সিস্টেমের কার্যকর প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকতে হবে ।
যার ফলে আপনার প্যাংক্রিয়াস ইনসুলিন উতপাদন করতে বন্ধ করে দেয় । এই ধরনের ডায়াবেটিস আমাদের কে প্রথমে প্রাথমিক উপাদান ইনসুলিন চিকিৎসা প্রয়োহগ করতে হবে । তার সাথে আমাদের দ্বিতীয় উপাদান শারীরিক কাজও করতে হবে । খাবার সংযোগ করতে হবে । টাইপ ১ ডায়াবেটিস পুরাতন নাম জুবিলেটিস হতে পারে ।
২. টাইপ ২ ডায়াবেটিসঃ টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মুখ্য কারণ হলো শরীরে ইনসুলিনের সঠিক ব্যবহার করা অথবা শরীর যত্নে ইনসুলিন উতপাদন করা বন্ধ করে দেয় । টাইপ ২ ডায়াবেটিস সাধারণভাবে শুখানো হয়ে থাকে । বেশির ভাগ সময় ওবেসিটি , অস্থির খাবার সংযোগ ,জীবনযাপন আদর্শ , জেনেটিক ফ্যাক্টর , যাত্ন না নেয়া এবং অন্যান্য সামাজিক ও আবদ্ধতা সংবদ্ধ এর কারনে দেখা যায় ।
- শরীরের সঠিকভাবে ইনসুলিন তৈরি না হওয়া ।
- শরীরের কোষগুলো সঠিকভাবে ইনসুলিন গ্রহণ করতে সক্ষম না হওয়া ।
- অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা করা ।
- চিনি কিংবা মিষ্টীজাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়া ।
- সব সময় মানসিক চাপে থাকা ।
- প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল পান করা ।
- সুষম খাবার ডায়েট লিস্ট না রাখা ।
- ঠিক মতো ঔষধ না খাওয়া ।
ডায়াবেটিস বা শুগার লেভেলস নিয়ন্ত্রণ না করা বা উচ্চ শুগারের লেভেলস দেখা যেতে পারে যেগুলী উপরে উল্লিখিত কারণ গুলোর কারণে হতে পারে । আপনি ডায়াবেটিসের ঝুকিতে পড়ার আগে আপনাকে শুগার লেভেলস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে ।
ডায়াবেটিস এর লক্ষণ
ডায়াবেটিসের এমন কিছু লক্ষণ আছে যে গুলোর যে কোন একটি আপনি দেখলে বুঝতে পারবেন যে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে । ডায়াবেটিসের একটি খুব সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা আপনার শরীরে রক্তে শুগারের স্তর বৃদ্ধি করে দেয় । আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস এর লক্ষণ গুলো কি কি?
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ।
- ওজন কমে যাওয়া ।
- অতিরিক্ত পানির পিপাসা লাগা ।
- শরীরের কোথাও ইনফেকশন হলে সহজে না সারা ।
- হাত পা অবশ হয়ে যাওয়া ।
- প্রচুর পরিমাণে ক্ষুধা লাগা এবং ক্লান্তি বোধ হওয়া ।
- দুর্বলতা ও শারীরিক ব্যাথাঃ ডায়াবেটিস পুর্ণাঙ্গ শরিরে দুর্বলতা এবং শারীরিক ব্যাথা উতপন্ন করতে সাহায্য করে ।
- জ্বর এবং অতিরিক্ত অবস্থাঃ ডায়াবেটিস রোগির অতিরিক্ত অবস্থা যেমন ক্যান্ডিডিয়াসিস এবং অন্যান্য ইনফেকশন , জ্বর অতিরিক্ত বৃদ্ধি হওয়া ।
- চোখের সমস্যা ।
উপরের যে কোন একটি লক্ষণ আপনার মাঝে দেখা দিলে আপনি আজি ডায়াবেটিস টেস্ট করুন । এই লক্ষণ গুলো হওয়া মানে আপনার ডায়াবেটিস রোগে আক্তান্ত হচ্ছেন ।
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
অনেকে নিয়মিত ঔষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ করেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারচ্ছেন না । দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় জানতে গিয়েছিলাম ডা. সজিব মিয়ার কাছে , তিনি বলেন চিকিৎসকের পরামর্শে মত নিয়মিত ব্যায়াম ও খাদ্য ভ্যাসের মাধ্যমে ডায়বেটিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ।
ড. আনউইনের একটি গবেষণা পত্র ওয়েবসাইটে গাইডলাইন ইন প্র্যাক্টিস এ প্রাকাশিত হয় । চিনি যুক্ত খাবার যেমন মিষ্টি এবং বেশি পরিমাণে শর্করাযুক্ত খাবার যেমন কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করা বা ব্লাড সুগার বাড়ায় এবং চর্বি ও প্রোটিন সমদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।
ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখাঃ যদি আপনার শরীরের হাইট এর সাথে মেজার ওজনের সাথে বাড়তি ওজন থাকা মানে ডায়াবেটিস রোগে আক্তান্ত হওয়া । তবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা ডায়াবেটিস রোগির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ওজন কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার বর্জন করে নিয়মিত ব্যায়াম করুন ।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমঃ ঘুম আপনার শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কয়েক গুণ সহায়তা করে । অব্যাহত ঘুম অবস্থায় শরীরের ইনসুলিন নির্গমন এবং গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সমর্থন করে ।
নিয়মিত পানি পান করাঃ নিয়মিত পানি পান করা মানে ডায়াবেটিস ৬০ ভাগ নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এসেছেন । এটি আপনার শরীর সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে ।
দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিভিন্ন ধরেণের ঔষুধ বিদ্যমান আছে । ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এই ঔষধ গুলো । আসুন তাহলে জেনে নেই কোণ ঔষধ গুলো দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ।
মেটফরমিন: এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রথম লাইন ঔষধ । এটি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমানোর জন্য এর সাথে গ্লুকোজ লেভেল কমানো এর মূল কাজ । এটি সব চেয়ে প্রভাবশালী ঔষধের মধ্যে একটি ।
সুলফোনিলইউরিয়া : এই ঔষধ গুলো ইনসুলিন উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে । এই শ্রেণীর প্রমুখ ওষুধ গুলো হলো জিলেটামাইড , গ্লিপিজাইড এবং গ্লিমেপিরাইড ।
দিউরেটিক : দিউরেটিক ঔষধ গুলো হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয় । ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এগুলি কাজ করে বৃদ্ধি করে ডায়াবেটিস সংক্রমণে ।
তিয়াজোলিদিনডাইন , গ্লিপটিন , ইনসুলিন , সিগলিটস , ডিপ্পিপী৪ ইনহিবিটর ইত্যাদি আরোও অনেক ঔষুধ আছে এই গুলোর মাধ্যমে খুব দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় । আলোচনার একদম শেষ প্রান্তে চলে এসেছি । তাই বলা যায় ডায়াবেটিস নিঃসন্দে একটি মারাত্নক রোগ ।
এই মারাত্নক রোগ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে এর কারণে অকালে মৃত্যু হতে পারে আপনার । যদি আপনাদের মধ্যে কারো ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস পরিক্ষা নিরিক্ষা করুন । ডায়াবেটিস কমানোর উপায় অনুসরণ করতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিৎ ।
ও হ্যা একটা কথা মনে রাখবেন এই ঔষধ গুলো সেবন করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিবেন । একটি ভুল সারা জীবনের কান্না । তাই ডায়াবেটিস রোগীদের বলবও এই ঔষধ গুলো সেবনের আগে অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন । সর্বশেষ একটি কথা ডায়াবেটিস আক্তান্ত রোগীরা ঔষুধের পাশাপাশি দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় গুলো মেনে চলবেন ।
আমাদের banglatipsbd সাইটে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে । আপনার সুন্দর একটা মতামত দিন আমাদের সাইট সম্পর্কে । আপনাদের মন চাইলে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখতে পারেন আর হ্যাঁ পারলে আমাদের ইউটুব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন । আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।