চুলকানি প্রতিরোধের উপায় ও চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে । যারা এখনো জানেন না আপনি কিভাবে আপনার চুলকানি প্রতিরোধ করবে । তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল আসুন আর কথা না বাড়িয়ে চুলকানি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক । আপনি যদি শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনি চুলকানি বিষয়ে সকল প্রতিরোধের উপায় পেয়ে যাবেন ।
চুলকানি খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা । যে ব্যক্তির চুলকানি আছে সে ব্যক্তির মাঝে সব সময় একটি অস্থিরতা কাজ করে থাকে । এছাড়াও ঘুরতে গেলে কিংবা কারো সাথে দেখা করতে গেলে এবং অফিসে গেলে এই চুলকানি আমাদের পাছ ছাড়ে না । আমাদের ইনফন্ডেট সময় গুলোতে এই চুলকানি বিভান্ত কর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয় ।
এজন্য আমাদের এই চুলকানি দূর করার খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে পড়ে । তাই আজকে আমরা চুলকানি প্রতিরোধের উপায়গুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো । এই জন্য আপনাকে ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে ।
ত্বকের চুলকানি বিব্রতকর একটি সমস্যা । এ সকল সমস্যা থেকে একেবারে মুক্তি পেতে যে শুরুতেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এমন কোন কথা নেই । অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ত্বকের সমস্যা কিংবা সরল চর্মরোগ থেকে এই চুলকানির সুত্রপাত হয়ে থাকে । আপনার চুলকানি অনুভূত হলে শুরুতেই আমাদের দেওয়া চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন ।
চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন
একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন যে ত্বকের চুলকানি কোন মারাত্নক রোগের উপসর্গ হতে পারে । এই ত্বকের চুলকানি মানব জীবনে অনেক বড় বড় রোগের সৃষ্টি করতে পারে । যেমন- কিডনি রোগ , লিভারের রোগ , সেলিয়াক রোগ এবং লিস্ফোমা । তাই আমাদের এই চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন । যদি এই উপায় গুলো দিয়ে কাজ না হয় তাওলে চিকিৎসাকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে ভুলবেন না ।

নারকেল তেল কিংবা জলপাই তেল
চুলকানির সবচেয়ে বড় চিকিৎসাটি আপনার হাতের কাছেই আছে কিন্তু আপনি জানেন না । নারকেল তেল কিংবা জলপাই তেল ত্বকের হাইড্রেশন বা আর্দ্রতার জন্য ভালো কাজ করে । এটি ত্বকের কোন প্রকার ক্ষতি করে না । যেকোন শুষ্ক ও চুলকানি স্থানে এসব তেল মাখতে পারেন ।
ওটমিলের গুঁড়া
ওট্মিলের গুঁড়া ত্বকের চুলকানি উপশম করতে পারে । গোসলের পানিতে অল্প পরিমাণে কলোই ডাল ওটস খুব সূক্ষ্ম ওটস পাউডার মিশিয়ে নিবেন । ক্যলাইফোর্নিয়ার সান ডিয়েগোতে অবিস্থিত আর্ট অব স্কিনের কসমেটিক সার্জন ও ডার্মাটোলজিস্ট মেলানি পাম কিংবা কলোই ডাল ওটমিল মিশিয়ে পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের কোন প্রকার ক্ষতি না করে চুলকানি ভালো করে দেয় । রোদে পোড়া ত্বক ও চুলকানির চিকিৎসায় ভালো ফল যায় । এজন্য কুসুম গরম পানিতে ওট্মিল পাউডার মিশিয়ে গোসল করতে হবে ।
খাবারের তালিকা
খাবারের তালিকা শুধু মাত্র কাপকের জন্য নয় । খাবার চুলকানির চিকিৎসায় ও কাজে আসতে পারে । ড. পাম বলেন যে চুলকানি উপশমে খাবারের তালিকা ব্যবহার করতে হবে । অনেক চিকিৎসকের একজিমা প্রবণ ত্বকের জন্য এ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে বলেন ।
পর্যাপ্ত পানি পান করা
চুলকানির প্রধান চিকিৎসা হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে । চুলকানি কেবলমাত্র শরীরের বাইরের দিকে সীমাবদ্ধ থাকে না । শরীরের ভিতরের দিকে থাকে এজন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে । পানি ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখে আর আর্দ্রতা ঠিক থাকলে চুলকানি প্রবণতা কমে আসে ।

বেকিং সোডা
বেকিং সোডা গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে ত্বকের জন্য খুবই আরামদায়ক । মিনেসোটার রোজল্যান্ডে অবস্থিত তারিন ডার্মাটোলজির ত্বক বিশেষজ্ঞ মোহিবা তারিন বলে গেছেন চুলানি কমাতে একটি কার্যকর উপায় হলো পানিতে বেকিং সোডা মিশ্রণ করে গোসল করা । বেকিং সোডা পানির পিএইচের মান ভারসাম্য বজ্জায় রাখে ফলে ত্বকের উপর বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে ।
ভিটামিন ডি
শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন দিনগুলোতে চুলকানির প্রবণতা কয়েক গূন বাড়িয়ে দেয় । এটা কিন্তু কালতালীয় ব্যাপার নয় । শরীরে ভিটামিন ডি অভাবে কিন্তু চুলকানি হয় । এজন্য অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ পরামর্শ দিয়ে থাকে ভিটামিন ডি খাইতে ।
চুলকানি হওয়ার প্রধান কারণ হলো বিভিন্ন ধরণের পোকার আকারে অবস্থানে বা কারণের জন্য অনেকগুলি কারণ হতে পারে । চুলকানি হওয়ার মুল কারণের মধ্যে ব্যবহারকারীর আবস্থা পরিস্থিতি এবং সচ্চারিত প্রভাবশীল কেমন আছে । এই সবের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হলো :
পরিবারের চুলকানির ইতিহাস : চুলাকনি প্রতিরোধশীল হওয়া একটি উত্তরমূলক ক্ষমতা তৈরি হতে পারে । যদি একজন ব্যক্তি ইতি মধ্যে চুলকানির মোচ বা স্যান্ড ফ্লাই বিদ্যমান থাকে ।
পোকা বা মোচের উপস্থিতি : স্থায়ীভাবে প্রচুর পরিমাণে পোকা বা মোচ থাকলে একজন ব্যক্তি চুলকানি হতে পারে ।
জলপাই বা আবহাওয়া পরিস্থিতি : কিছু পোকা কিংবা মোচ জলপাই এমন কি আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বেশি আকষিত হয়ে আসে এ পরিস্থিতেতে থাকতে ব্যক্তিরা চুলকানি আক্রান্ত হয় ।
স্থান : চুলকানি বা মোচ সাধারণত বন্ধুবান্ধবী এলাকায় বেশি হয়ে থাকে । যেখানে পোকা বা মোচ বিশেষজ্ঞ পরিস্থিতির জন্য একটি আদর্শ পর্যায়ে হয়ে থাকে ।
চুলকানির মূল কারণগুলির ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় ব্যক্তির অভ্যন্তরে হয়ে থাকে । আপনার আবস্থার উপর নির্ভর করে মোচ বা পোকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নেওয়ার জন্য সব চেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি নিতে হবে ।
চুলকানি প্রতিরোধের উপায়
আমাদের শরীর সবসময়ই ক্ষতিকর বস্তুকে , পরজীবি বা ছত্রাক কিংবা ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া কে প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করে । আমাদের শরীর সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন অনেক ধরনের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করে ।

অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী বহিরাগত বস্তুগুলোকে অ্যালার্জি উৎপাদক বা অ্যালার্জেন বলা হয় । এদের উপসর্গ হচ্ছে অনবরত হাঁচি , নাক চুলকানো , নাক দিয়ে পানি পড়া কিংবা নাক বন্ধ হয়ে আসা । চোখ দিয়ে পানি পড়ে কিংবা চোখ লাল হয়ে যায় । চুলকানির মতো অস্বস্তিকর আর কিছুই নেই ।
ত্বকের বেশিরভাগ চুলকানি নিরীহ প্রকৃতির । ত্বকে যদি শুষ্কতা ও কীটের কামড়ের মতো সাধারন কারণে ত্বকে চুলাকি হয়ে থাকে । ত্বক সমস্যায় কিছু মারাত্নক রোগ হতে পারে । কিছু কিছু মারাত্মক রোগের কারণেও কিন্তু চুলকানি হতে পারে ।
চুলকানি প্রতিরোধের উপায় আছে অনেক তার মধ্যে আজকে কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনাকে করতেই হবে তাহলে আপনি চুলকানি প্রতিরোধ করতে পারবেন । আসুন তাহলে আর দেরি না করে এখনি দেখে নেই চুলকানি প্রতিরোধের কয়েকটি বিশেষ উপায় ।
প্রতিরোধ শীল পোষণ : সঠিক এবং পোশাক মূল্যের খাবার গ্রহণ করা প্রতিরোধ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে । আপনি চাইলে ভিটামিন ডি , ভিটামিন জায়ীয় খাদ্য , খনিজ এবং প্রোটিনের দ্বারা পৌষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে ।
বাসায় থাকা সময়ে চুলকানি বা মশা নেট ব্যবহার করা : বাসায় থাকা সময়ে চুলকানি বা মশা নেট ব্যবহার করা মশার দখল বা চুলকানির কাটা থেকে রক্ষা করতে অনেক সাহায্য করে ।
প্রতিরোধ শীল বস্ত্র ব্যবহার করা : মধা বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করা । যেমন লং স্লীভ কাপড় ও পরিষ্কার কাপড় পরিধান করা ।
স্থান নির্বাচন : কোন স্থানে চুলকানি হচ্ছে তা নির্বাচন করতে হবে । এটি আসলে কেন চুলকাচ্ছে তা ভালোভাবে বুঝতে হবে । সেই স্থানে নারকেল তেল দিয়ে চুলকানি বন্ধ করতে হবে ।
চুলকানি বা চুলকানির সুবর্ণ পরিষ্কারভাবে রাখতে হবে : সচ্চরিত্রা মেনে চুলকানি এবং তার চারিতা সকাল ও রাতে একেবারে পরিষ্কার করে রাখতে হবে ।

উচ্চ তাপমাত্রার পয়েন্ট : চুলকানি কাটার সময়ে কিংবা উচ্চ তাপমাত্রার পয়েন্ট ব্যবহার করা হতে পারে যেটি চুলকানি তৈরি করতে পারে ।
লেবু : লেবুর রসে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকের চুলকানি কমাতে কয়েক গুন সাহায্য করে । চুলকানির প্রতিকার পাওয়ার জন্য ত্বকের যে স্থানে চুলকানি অনুভুতি হয় সে স্থানে লেবুর রস লাগিয়ে দিন । লেবুর রস শুকিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে দেখবেন চুলকানি কমে গেছে ।
নিম পাতা : চুলকানির হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম পাতার ব্যবহার জানুন । নিম পাতা পিষে চুলকানি স্থানে ভালো করে লাগিয়ে দিন । নিম পাতার রস শুকিয়ে গেলে ভালো করে ধুয়ে নিন । এভাবে কিছু লাগাবে দেখবেন আপনি চুলকানি থেকে চিরতে মুক্তি পেয়ে গেছেন ।
অ্যালোভেরা : ত্বকের যত্নের জন্য প্রতিদিন অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন । চুলকানি প্রতিকারের জন্য অ্যালোভেরা বিকল্প নেই । ত্বকের যে স্থানে চুলকানি আছে সে স্থানে তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে রস বের করে সুন্দর করে লাগিয়ে দিন । দেখবেন কয়েক মিনিটেই চুলকানি কমে যাবে ।
যদি আপনার কোন স্থানে চুলকায় আর সেই স্থানে যদি দাদের চুলকানি হয় তাহলে আপনাকে কিছু দিনের জন্য সাবান ব্যবহার করা বন্ধ রাখতে হবে । বিশেষ করে বাড়ির চারপাশে জলাভুমি পরিষ্কার করে রাখতে হবে । অনেক সময় মশার কামড়ে চুলকানি হয়ে থাকে । এই গুলো প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে ।
তুলসী পাতা: তুলসী পাতা দিয়ে চুলকানি কমানো যায় । তুলসী পাতায় আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্সথেটিক এসিড । এক গ্লাস ফুটন্ত পানিতে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি তুলসী পাতা নিতে হবে । এই তুলসী পাতা গরম পানিতে দিয়ে ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে । একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পানিটি চুলকানি স্থানে ভালো করে লাগিয়ে দিতে হবে । হালকা কুসুম গরম পানি অবস্থায় চুলকানি স্থানে ভালোভাবে লাগালে কিছু কক্ষণের মধ্যে দেখবেন চুলকানি কমে আসবে ।
পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতায় আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্সথেটিক ও ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা চুলকানি সারাতে ভালো কাজ করে । পুদিনা পাতা এক মগ পানি নিয়ে এতে এক পাউন্স পুদিনা পাতা নিয়ে এক সাথে ভালো ভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে । এর পানি ছেকে ফেলে দিয়ে এই চুলকানির মহা ঔষধ তৈরি করতে হবে । এর পরে চুলকানি স্থানে ভালো করে এই পুদিনা পাতার ঔষধ লাগিয়ে দিনে তার দেখবে খেলা । চুলকানি আপনার শরীর থেকে একদম উদাও হয়ে গেছে যা আপনি বিশ্বাসি করতে পারবেন না ।
গোল মরিচ: গোলমরিচ ও গন্ধক মিহি করে পাঠায় পিষে ঘি দিয়ে ভালো করে মিশেয়ে এই ঔষধ তৈরি করতে হবে । এটি শরীরের চুলকানি স্থানে ভালো করে লাগিয়ে রোদ্দে গিয়ে বসতে হবে এটি যত সুখাবে তত আপনার চুলকানি কমবে । মনে রাখবে এই উপাদান গুলো পাবেন কবিরাজি দোকানে ।
আমাদের banglatipsbd সাইটে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে । আপনার সুন্দর একটা মতামত দিন আমাদের সাইট সম্পর্কে । আপনাদের মন চাইলে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখতে পারেন আর হ্যাঁ পারলে আমাদের ইউটুব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন । আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।