চর্ম রোগের ঔষধের নাম ও চর্ম রোগের লক্ষণ জানতে চেয়েছে অনেকেই আবার অনেকেই ইন্টারনেট খুজাখুজি করে এই রোগের ঔষধের নাম জানতে । এই রোগে আমরা কম বেশি সবাই ভুগছি ।
ত্বক কিংবা চামড়া হলো মানব দেহের সুরক্ষাদায়ক ও মানব দেহের শরীরের সব চেয়ে বড় অঙ্গ । আমাদের অনেকেরই চর্ম রোগ হয়ে থাকে । আমরা অনেকই এই চর্ম রোগ কে বেশি একটা গুরুত্ব দেই না । এই রোগকে ডাক্তার মারাত্মক একটা রোগ বলে থাকে । ত্বকের অস্বস্থিত সৃষ্টিকারী যে কোন উপাদান থেকে ফোলা ভাব , চুলকানি জনিত কিংবা জ্বালা ও লাল চে ভাব দেখা দিলে বা ত্বকের আকারকে প্রভাবিত করে ।
সংক্রমণের কারণে ত্বকের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে । ত্বকের সংবেদনশীলতা ও ত্বকের পিগমেন্ট ও আঁশের মতো ছাল ওঠা হ্রাস কিংবা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ফোস্কা ও মাংস্পিন্ড কিংবা ফুসকুড়ি আকারে চর্মরোগ দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার চর্ম রোগ হয়েছে।
চর্ম রোগের ঔষধের নাম
কম বেশি চর্মরোগ আমাদের সবারই হয়ে থাকে ।কেউ কেউ এই চর্ম রোগের ঔষধের নাম জানি না । আমরা অনেকেই ইন্টারনেট খোঁজাখুঁজি করে থাকি এই রোগের ঔষধের নাম কি । চলুন জেনে নিই রোগের ঔষধের নাম কি ।
১. বায়োপ্লাজেন ২০
বায়োপ্লাজেন ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন এই ঔষধটি প্রাপ্তবয়স্করা চারটি ট্যাবলেট তিন ঘন্টা পর পর দিনে চারবার খাবেন । শিশুদের জন্য দুইটি ট্যাবলেট প্রতি তিন ঘন্টা পর পর চারবার খাবেন । ট্যাবলেট গুলো অবশ্যই খাওয়ার আগে কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে খেতে পারেন কিংবা পরে ।
ট্যাবলেট গুলো গিলে খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ মুখে রাখার চেষ্টা করবেন । এই বায়োপ্লাজেন ২০ খেয়ে যদি দেখে উন্নতি হচ্ছে তাহলে এই ঔষধ সেবনের মাত্রা কমিয়ে দেন । শরীরের অন্য কোন রোগ থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিবেন ।
- ২. Dexoren S
- 3. Betnesol
- 4. Wysolone
- 5. Germans Stomach ache Drops
- 6. Deflox
- 7. Emsolone
- 8. Kidpred
- 9. Methipred
- 10. Omnacortil
চর্ম রোগের লক্ষণ
চর্ম রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো হলোঃ
- ঘা
- শুকানো চামড়া
- দাগ
- উন্মুক্ত ক্ষত
- চামড়ার রঙ পরিবর্তন
- ফোড়ার মতো ওঠা
- জল ভর্তি ফোস্কা
- কাটার আঘাত
- খোস পাচড়া
- কালচে ভাব
- চামড়ায় ফিকে ছোপ
- বলিরেখা
- মাংসপিন্ড
- ফুসকুড়ি
- চুলকানি কিংবা যন্ত্রণাদায়ক ফুসকুড়ি
- লাল রঙ্গয়ের ফোলা দাগ
- ফোলাভাব
- পুঁজ জমা
- সংবেদনশীলতা
চর্ম রোগের লক্ষণ কিংবা কেন হয়
আমরা অনেকেই এই চর্ম রোগে ভুকতেছি । আপনি যদি আগে থেকেই জানেন যে কিভাবে চর্মরোগ হয় তাহলে আপনি খুব সহজেই এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন । তাহলে চলুন আর দেরি না করে এখুনি জেনে নেওয়া যাক কি কি কারণে এই রোগ হতে পারে।
- বংশগত কারণে চর্মরোগ হতে পারে ।
- খাদ্যের জন্য হতে পারে ।
- ইনফেকশনের কারণে হতে পারে ।
- এনভারমেন্ট কারণে হতে পারে ।
- কোন ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হতে পারে ।
একজিমা হচ্ছে এমন একটা রোগ যেটা মানুষের অনেক কষ্ট দেয় । এটি বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ যার বেশ ওরকম উপসর্গ আছে একজন নির্ণয় করার জন্য কোন একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষানিরিক্ষা বা কোন কিছু নেই এমন ইতিহাস পড়ে দেখা গেছে যে একজন একজিমা তে উপসর্গগুলি দেখা যায় সেই সব হলো হাঁটু হাত ও পায়ের পেছনে ব্যথা করে এমনি কমার মধ্যে চুলকানি মুখে ফুসকুড়ি শুষ্ক চুলকানি চুলকানি সম্পর্ক হয়ে আছে ত্বকের ।
ইমপিটিগো ছয় ধরণের হয়ে থাকে এটি বেশি হয় দুই বছরের বয়সী শিশুদের একটি অসাধারণ ত্বকের সংক্রমণ হয়ে থাকে । ইমপিটিগো একটি ব্যাকটেরিয়া থেকে হয় যা প্রবেশ করে কোন কাটা ছেড়ের মাধ্যমে ।
চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপায়
শিশু বাচ্চাদের দেহে কাটা ছেড়ার মাধ্যমে শিশুদের দেহে প্রবেশ করে এর ফলে শিশুদের সেই স্থানে লাল হয়ে থাকে । সেই লাল স্থান দেখবেন ব্রণ এর মত গোটা দেখা দিবে আবার পুর মুখ ভর্তি হয়ে থাকে এগুলি ফেটে গেলে দেখবেন সেখানে একটি স্তর দেখা দিবে । এই গুলো দেখলে আপনি ইমপেটিগো চিকিৎসা করার জন্য এন্টিবায়োটিক এর মাধ্যমে একটী ভালো ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঔষধগুলি নিবেন ।
পাচরা হলো একটি সংক্রামক চর্মরোগ যার কারণে আমাদের দেহে বেশি থেকে বেশি চুলকানি হয়ে থাকে । এই চুলকানির কারণে আমাদের শান্তি মত ঘুমাতে দেয় না । বিশেষ করে রাত্রিবেলায় বেশি করে ছোট ছোট লাল অংশ হয় সেখানে ফুসকুড়ী পড়ে যা ত্বকে গর্ত করে ফেলে এবং প্রচুর পরিমাণে চুলকানি হয়ে থাকে ।
বলিরেখা দেখা মানে আমাদের ত্বকের পালটিয়ে ফেলা যা আমাদের মুখের মধ্যে শুষ্কতা চলে আসে । এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের আলো আমাদের ত্বকে লাগে সবচেয়ে বেশি কিংবা ধুমপান করার মাধ্যমে এই সমস্যা হয়ে থাকে ।
রোসেসিয়া এর কারণে আমাদের চোখের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে । আমাদের পুরো মুখ ব্রণ দ্বারা ভর্তি হয়ে যায় ফলে আমাদের শরীর লাল চেহারায় পরিবর্তন হয়ে যায় । কেন্ডিয়াসিস এর কারণে ছত্রাকের অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় যার কারণে পুচকি বগল এবং কোন ত্বকের ভাব হাঁটুতে অসম্ভব দাগ এক ধরনের ঘরোয়া টোটকা এবং প্রদ্ধতির পাশাপাশি অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খেতে হবে ।
শুধু উপরে আলোচনায় যে এই চর্ম রোগ হয় তা কিন্তু নয় । উপরের মুলত এই কারণগুলোর মাধ্যমে এ রোগ গুলো সব থেকে বেশি হয়ে থাকে। এই চর্মরোগের আরোও অনেক কারণ আছে এই সকল রোগ গুলো হয়ে থাকে ।
চুলকানি ও দাউদ হলে হলুদ সন্দর ভাবে বেটে যেসব স্থানগুলোতে এই আক্রমোন করে সেই সব স্থানে ভালো করে লাগিয়ে দিতে হবে । নিয়মিত এই জিনিসটি মাখলে কয়েক দিনের মধ্যে আপনি এর উপকার পেয়ে যাবেন । আপনার শরীরের উপরে চুলকানি দাউদ খোসা পরা সাধারণত এগুলি আমরা দেখতে পাই যা কম বেশি পৃথিবীর অনেক মানুষের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যায় ।
এই অসুখগুলো হয় এর জন্য একটা প্রতিকারমুলক ব্যবস্থা আছে আমাদের বন সমাজে একটা গাছ পাওয়া যায় যার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা যায় । এই গাছটির নাম হচ্ছে কেও গাছ । কেউ কেউ এই গাছটা সুন্দরভাবে উঠাইয়া নিয়ে এসে সেটা ভালো করে ধুয়ে বেটে এর রস দিয়ে ঔষধ তৈরি করে থাকে ।
কেও গাছের রস দিয়ে চুলকানি কিংবা দাউদ জনিত সমস্যাকে খুব সহজে সমাধান করা যায় । আপনার শরীরে যে সকল স্থানে এই চুলকানি কিংবা দাউদ হয়েছে সে সকল স্থানে এই রস ভালো করে মাখিয়ে দিতে হবে । কয়েক ঘন্টা পরে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে । এভাবে কয়েক দিন দিলেই দেখবেন চুলকানি কিংবা দাউদ সেরে গেছে ।
আপনার গায়ের চামড়ার রং অন্যরকম হয়ে যায় এর প্রতিকারমুলক একটা ব্যবস্থা আহে সেটি হলো কাব ডুমুর এটি আমাদের সবার প্রথমে দেখতে হবে । এই গাছটির ফল সুন্দর করে সঠিকভাবে পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে । আপনি চাইলে ডুমুর গাছের ছাল নিয়ে এসে পানিতে সিদ্ধ করে নিতে পারে ।
আপনার একটি পরিমাপ মত আপনি এই ডুমুর নিতে পারেন । ডুমুর গাছের ছাল ভালো করে বেটে নিতে হবে এর পর চার কাপ পানি দিয়ে ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে এবং কিছু অংশ বাকি থাকতে হবে সেটাকে নামিয়ে নিতে হবে । সিদ্ধ করা পানি আপনার চুলকানি কিংবা দাউদ স্থানে ভালো করে ধুয়ে লাগিয়ে দিতে হবে ।
এই ভাবে আপনি কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ দিন ব্যবহার করবেন দেখবে আপনার সমস্যা ভালো হয়ে গেছে । আসুন এর সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা আরো একটি ঘরোয়া প্রদ্ধিতি জেনে আসি । বাজার দেখবেন অনেক চিচিঙ্গা পাওয়া যায় এবং টাকা একত্রে করে রস করে নিতে ।
এই রসটাকে ছেকে ফেলে দিতে হবে এবং ঐ রসের পানিমাণ পানি মিশিয়ে একটা কুসুম গরম করে ২ চামচ নিয়ে প্রতিদিন সকালে একবার খেতে হবে । এভাবে কয়েক দিন খেলে দেখবেন আপনার শরীর থেকে চুলকানি আর দাউদ চিরদিনের জন্য বিদায় হয়ে যাবে ।
দাউদ একজিমা চুলকানি যদি হয় তাহলে একটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব । মহান আল্লাহর সৃষ্টি কাঁঠাল গাছের কঠিন দুইটা পাতা নিতে হবে কিংবা আপনি চাইলে তিনটি পাতা নিতে পারেন । এই পাতা গুলোকে সুন্দর ভাবে বেটে নিতে হবে দুই কাপ পানি দিয়ে সুন্দর করে হালকা গরম করে নিতে হবে ।
হালকা গরম অবস্থায় এক কাপ পানি নামিয়ে নিতে হবে । এই পানিটা সকালে বিকালে এবং রাতে দুইবার করে খেতে হবে এবং আপনার চুলকানি কিংবা দাউদ স্থানে ভালো করে লাগিয়ে দিতে হবে । আপনি এভাবে কয়েক দিন করলে দেখবেন আল্লাহর রহমতে আপনার দাউদ একজিমা চুলকানি ভালো হয়ে গেছে ।
ব্রণ দূর করার জন্য মারাত্রক একটি উপায় হলো নিম পাতার মধ্যে আছে । আসুন জেনে নেই নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হবে ব্রণ দূর করার জন্য । নিম পাতার মধ্যে মাইক্রোবিয়াল এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে এটার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটা আপনার ত্বকের ব্রণ কমাতে মারাত্রক উপকার করে । এই জন্য বিভিন্ন কোম্পানি এই নিম পাতা দিয়ে সাবান তৈরি করে যাদে করে মুখের ক্রিম তৈরি করে এবং মুখের ব্রণ দূর করে ।
হাট বাজারে বিভিন্ন ধরণের কমলা পাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে কিন্তু মূখের ব্রণ দূর করা যায় । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এই ঔষধ তৈরি করতে হয় । কমলার খোসা দিয়ে আমাদের মুখের ব্রণ গুলো খুব সহজে দূর করা যায় । এই কমলার মধ্যে দুই ধরণের উপাদান পাওয়া যায় ।
এক হচ্ছে মাইক্রোবয়েল এবং অপরটি হচ্ছে ইনফ্লামেটরি এগুলো আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং আমাদের ত্বকের শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে । অনেক ধরনের কথাই হলো এখন চলুন জেনে নেই কিভাবে কমলার খোসা ব্যবহার করে মুখের ব্রণ দূর করবেন ।
কমলা কয়েকটি এক জায়গায় নিয়ে সেই কমলা গুলো থেকে খোসা গুলো আলাদা করে রৌদ্রে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে । এই শুকনা কমলার খোসাগুলো ভালো করে গুড়া করে নিতে হবে । কমলার গুড়াগুলোকে পানির সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে ।
কমলার গুড়াগুলোকে এমন ভালো মেশাতে যাতে দেখতে পেস্টের মত দেখায় । এর পরে সেই পেস্ট আপনার ব্রণ আছে সেই স্থানে ভালো করে লাগিয়ে দিতে হবে । মনে রাখবেন এই পোস্টটাকে কমপক্ষে ৪০ মিনিটের মত রেখে দিতে হবে । তার পরে ভালো করে হালকা কুসুম পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে ।
আমাদের banglatipsbd সাইটে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক ভালো লাগছে । আপনার সুন্দর একটা মতামত দিন আমাদের সাইট সম্পর্কে । আপনাদের মন চাইলে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখতে পারেন আর হ্যাঁ পারলে আমাদের ইউটুব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন ।