গ্রামে কোন ধরনের ব্যবসা করলে লাভজনক হওয়া যায় ।গ্রামে নতুন নতুন ১০টি সেরা গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে এসেছি ২০২৩ সালে । বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি ? এই সব নিয়ে ভাবছেন কি ,তাই হলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য !
আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তাদের সবারি একটি ধারণা গ্রামে কোন ব্যবসা হয় না । ব্যবসা করার জন্য একমাত্র লাভজনক স্থান হলো শহর । আপনার ধারণা একদম ভুল কারণ হাজারো ব্যবসা আছে যা শুধু মাত্র গ্রামের জন্যই । আপনি গ্রামে বসে ছোট ছোট ব্যবসা থেকে অনেক বড় ধরণের ব্যবসা করতে পারেন ।
গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া
বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষ বেশির ভাগ গ্রামে বসবাস করে থাকি । আমরা মূলত চাষবাস কিংবা কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল । গ্রামে বসবাস কৃত মানুষের মধ্যে অনেকের আবার চাষবাস করার ইচ্ছা নেই । সেই সব মানুষগুলো চায় তারা গ্রামে থেকে নিজের চেষ্টায় একটি ব্যবসা শুরু করবে ।
শহরের মতো সুযোগ সুবিধা তেমন গ্রামে পাবে না গ্রামে ব্যবসা করলে । কিন্তু হ্যাঁ এর মানে এই না যে গ্রামে ব্যবসা করলে লাভজনক হওয়া যাবে না । বর্তমান সময়ে যে কোন ব্যবসা করার উপযুক্ত স্থান হলো গ্রাম-অঞ্চল ।কারণ শহরে কেউ অল্প পুজিতে ব্যবসা করতে পারবে না ।
গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া ও সুযোগ দুইটাই আছে একবার যদি কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনি হয়ে উঠবেন গ্রামের সেরা ব্যবসায়ি । গ্রামে ব্যবসা করতে বেশি টাকা লাগবে না । গ্রামে অল্প টাকায় সুন্দর একটা ব্যবসা শুরু করে বেশি লাভজনক হওয়া সম্ভব ।
আপনি যদি গ্রামাঞ্চলে সফল ব্যবসার আইডিয়া পেতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য ও আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। আজকে আমরা সেরা ১০টি ব্যবসার আইডিয়া দিতেছে যার মধ্যে যে কোন একটি ব্যবসা করলে অনেক লাভবান হবেন ।
সেরা ১০টি লাভজনক গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া গুলো
বর্তমান সময়ে গ্রামে থাকা মানুষ গুলোর মধ্যে প্রায় সবাই গ্রামে ছোট খাটো একটি ব্যবসা করতে চায় । শহরের মানুষ গুলোর মতোই গ্রামের মানুষগুলো সময়ের সাথে সাথে নিজের উন্নত করতে চায় । গ্রামের লোকদের জন্য গ্রামে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসার আইডিয়া আছে ।যেমনঃ
১.সার ও বীজের দোকান
২. মুরগীর খামার বা ফার্ম
৩. ওষুধের দোকান
৪. মোবাইল মেরামত কিংবা রিপেয়ারিং এর ব্যবসা
৫. দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের ব্যবসা
৬. রাইজ মেইল এর ব্যবসা
৭.কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
৮. মোবাইল ফোনে রিচার্জের দোকান
৯. দুচাকা গাড়ি মেরামতের দোকান
১০. মাশরুম চাষ
সার ও বীজের দোকান
আপনি যে গ্রামে বসবাস করছেন সেই গ্রামে যদি আপনি সার ও বীজের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।সর্বপ্রথম আপনাকে সেই গ্রামে খোজ নিয়ে দেখতে হবে সার ও বীজের দোকান আছে কি না । সার ও বীজের দোকান আপনার জন্য অনেক লাভজনক হতে পারে ।
গ্রামে বর্তমানে প্রচুর জমি চাষবাদ করা হয় ।সেই সব জমির জন্য ভালো মানের বীজ এবং সার নিজের দোকানে রাখবেন । তাহলে যারা চাষবাদ করে তারা আপনার দোকান থেকে এসব কিনবে । আপনি যেমন গ্রামের কৃষকের সাহায্য করবেন সাথে নিজেও লাভ করবে আপনার দোকান থেকে ।
মুরগীর খামার বা ফার্ম
মুরগির খামারের ব্যবসা করা বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চলে হয় । মুরগির খামার করতে গেলে খোলামেলা স্থান লাগে যা একমাত্র গ্রামেই সম্ভব । মুরগি খামারের ব্যবসার আইডিয়াটি একটি লাভজনক ব্যবসা যা গ্রামের জন্য পারফেকর্ট । গ্রামে মুরগির মাংসের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে এইটা তো আপনি জানেন।
যদিও মুরগির ফার্ম করতে অল্প স্থান লাগে কিন্তু খোলা স্থান থাকা অনেক প্রয়োজন । কারণ খোলামেলা স্থান হলে মুরগির রোগ বালাই কম হবে । যদি আপনার জায়গা-জমি না থাকে তাহলে অন্য কারো জমি ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসা করতে পারেন ।
এই ব্যবসা করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম একটি বিক্রেতার সাথে চুক্তি করবে ।যাতে করে সে আপনাকে মুরগির বাচ্চা ও প্রয়োজনীয় খাবার দিতে পারে । মুরগি বড়ো হওয়া পর্যন্ত আপনি লালনপালন করবেন মুরগি বড় হয়ে গেলে আপনি পাইকারের কাছে মুরগির ওজন হিসেবে বিক্রি করে দিবেন ।
আপনি যদি নিজেই এই ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এই ব্যবসায় ধরা খেতে পারেন ।কারণ আপনি তো মুরগির কিভাবে কি করতে হয় সেই সম্পর্কে কিছুই জানেন না । তাই এই রকম ঝুকি নেওয়া ঠিক নয় । যদি আপনি এই ব্যবসা শুরু করার আগে কারো সাথে চুক্তি করেন তাহলে আপনার ক্ষতি কম হবে ।
ওষুধের দোকান
আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি ।আমাদের যদি কোন অসুখ বিসুখ হয় তাহলে ওষুধ কিনার জন্য আমাদের শহরে যেতে হয় ।তাই আপনি যদি গ্রামাঞ্চলে ওষুধের দোকান দেন তাহলে আপনার জন্য অনেক লাভজনক ব্যবসা করতে পারবেন ।
গ্রামাঞ্চলে সচরাচর ওষুধের দোকান দেখা যায় না যদি ও থাকে তাহলে লাখে একটি দুটী । একটা ব্যাপারে আপনাদের অবশ্যই জেনে রাখতে হবে যে হঠাৎ করে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না । এই ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ওষুধ সম্পর্কে জানতে হবে ।
আপনি কোন ওষুধের দোকানে কম পক্ষে এক বছর কিংবা ৬ মাস কাজ করতে হবে। আপনার যখন ওষুধের দোকানের অভিজ্ঞতা হবে তখনি আপনি নিজে ব্যবসার কাজ শুরু করবেন ।এটি আপনার জন্য সবচেয়ে সেরা গ্রামে ব্যবসা করার আইডিয়া হতে পারে।
মোবাইল মেরামত কিংবা রিপেয়ারিং এর ব্যবসা
গ্রামাঞ্চলে সবাই কম বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে । যদি কোন কারণে সেই মোবাইল ফোন নষ্ট হয় তাহলে সেটি মেরামত কিংবা রিপেয়ারিং করার জন্য শহরে যেতে হবে। মোবাইল ফোন থাকলে সেটা খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক । অনেকের কাছে আবার এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনও আছে ।
যদি গ্রামাঞ্চলে একটি মোবাইল মেরামত কিংবা রিপেয়ারিং এর দোকান থাকে তাহলে তারা আর শহরে মোবাইলে মেরামত করতে যাবে না ।এই ব্যবসা যদি আপনি শুরু করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসায় আপনি অনেক লাভবান হবেন । একটি কথা না বলেই না এই ব্যবসা করার আগে আপনার এই কাজ জানা থাকা লাগবে ।
In rural areas, everyone uses mobile phones more or less. If for some reason the mobile phone is broken then it has to go to the city for repair or repairing. It is normal that it will be bad if you have a mobile phone. Many people also have Android smartphones.
If there is a mobile repair or repairing shop in the rural areas then they will not go to the city to repair mobiles. If you can start this business then you will be very profitable in this business. Before doing this business without saying a word, you need to know this work.
দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের ব্যবসা
গ্রাম অঞ্চলের প্রত্যেক কৃষকের ঘরে ঘরে গরু কিংবা মহিষের পালন করে থাকেন । এই সব গরু-মহিষের দুধ বিক্রি করার জন্য শহরে যেতে হয় ।আপনি যদি সেই দুধ কিনে বাজারে বিক্রি করতে পারেন। বাংলাদেশে ও ভারতে প্রচুর পরিমানে দুধের চাহিদা রয়েছ ।
খাঁটি গাভীর দুধের ভীষণ অভাব রয়েছে বাজারে । আপনি গুর খামার কিংবা বাড়ী বাড়ী গিয়ে দুধ সংগ্রহ করেন তা আপনি বিক্রি করে অনেক লাভজনক হবেন ।সকল দুধ সংগ্রহ করে একটি পরিষ্কার স্থানে রাখতে হবে যাতে করে দুধ নষ্ট না হয় ।
রাইজ মেইল এর ব্যবসা
গ্রাম অঞ্চলের ধান ভানার অনেক অসুবিধা ।কারণ তাদের ধান ভানার জন্য শহরের রাইজ মেইল এ আসে হয় । আপনি যদি আপনার এলাকার বা আশে পাশের এলাকায় কোন প্রকার রাইজ মেইল না থাকে তাহলে আপনি এখনি রাইজ মেইল এর ব্যবসা শুরু করে দিন ।
এই ব্যবসা টি সব চেয়ে লাভজনক ব্যবসা ।আপনি একবার করে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন । আপনি উন্নত না করতে পারলেও প্রতি দিন অনেক টাকা নাড়াচাড়া করতে পারবেন । আপনি সেখানে শুধু ধানই ভানে না সেখানে সব ধরনের চাহিদা পূরণ করবেন ।
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
বর্তমান সময়ে শহরাঞ্চলের সাথে তাল মিলে এখন গ্রামাঞ্চলের মানুষও কম্পিউটার শেখার ইচ্ছা কয়েক গুন বেরেছে । এখন কার ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি কম্পিউটার শিখতে চাচ্ছেন । আপনি যদি কম্পিউটার চালাতে পারে ভালো মানের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকেন তাহলে গ্রামে এই ব্যবসা করতে পারেন ।
.কম্পিউটার শিখার জন্য গ্রামের ছেলে মেয়েরা শহরে গিয়ে টাকা খরচ করে যাচ্ছে ।আপনি তাদের কাছ থেকে অল্প কিছু টাকা নিয়ে তাদের কম্পিউটার শেখার স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করে তুলুন । আপনার অভিজ্ঞতার উপরে ভিত্তি করে গ্রামে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষন কেন্দ্র খুলে ফেলুন ।ইন্টারনেটে কাজ শিখাতে পারেন ।
মোবাইল ফোনে রিচার্জের দোকান
গ্রামাঞ্চলে সবাই কম বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ।তাদের মোবাইল ফোনে রিচার্জের জন্য শহরে যেতে হয় ।তাই আপনি তাদের এই সেবা দেওয়ার মাধ্যমে গ্রামে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন । ফোনে রিচার্জ ও বিকাশ এবং নগদ টাকা লেনদেনের ব্যবস্থা রাখবেন ।
কম্পিউটার কী-বোর্ড | কী-বোর্ড কত প্রকার ও কি কি | কম্পিউটারের কী-বোর্ডের খুঁটিনাটি (এ টু জেড) | Computer keyboard details (a to z)
দুচাকা গাড়ি মেরামতের দোকান
দুচাকা বা সাইকেল নেই খুব কম বাড়িতে , গাড়ি থাকলে তো সেগুলো মেরামতের প্রয়োজন হবেই। সচরাচর গ্রামাঞ্চলে এই দোকান গুলো পাওয়া যায় না ।তাই আপনি প্রয়োজনিয় জিনিস পত্র কিনে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন । গ্রামাঞ্চলে অনেক গাড়ী নষ্ট হয় সেগুলো ঠিক করতে শহরে যেতে হয় ।
মাশরুম চাষ
আমাদের দেশে মাশরুম চাষ হয় ।এই মাশরুম সম্পর্কে কে না জানে বলেন । কয়েক বছর ধরে নিরামিষ খাবার হিসেবে মাশরুমের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে । মাশরুমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি শহরে । মাশরুম চাষের উপযুক্ত স্থান হলো গ্রামাঞ্চলে ।
এই ব্যবসা করতে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে প্রায় ১২ হাজার থেকে শুরু করে ১৭ হাজার টাকা যদি আপনি ছোট খাটো ব্যবসা শুরু করতে চান । আপনি যদি চান এই ব্যবসা বড় করবেন তাহলে আপনার বিনিয়োগ করতে হবে প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা ।
আপনি যদি চান তাহলে দেশের বাইরে গিয়েও কাজ করতে পারেন কিংবা ব্যবসা করতে পারেন ।যেমন ইতালি
ফেসবুক ও ব্লগে পোস্ট করে ইনকাম | পোস্ট করে টাকা আয়
আমাদের banglatipsbd সাইটে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে । আপনার সুন্দর একটা মতামত দিন আমাদের সাইট সম্পর্কে । আপনাদের মন চাইলে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখতে পারেন আর হ্যাঁ পারলে আমাদের ইউটুব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন । আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।