কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট

কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক । আপনি কি ? কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট খুঁজছেন তাহলে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন । বাংলা পাঠ্য বইয়ের মধ্যের যে সকল গুরুত্বপূর্ণ রচনা রয়েছে সেইগুলোর মধ্যে কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট অন্যতম । আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট তুলে ধরেছি।

আশা করি আপনারা যদি এই রচনাটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি খুব সহজেই মুখস্ত করে নিতে পারবেন । কারণ আমরা খুব সহজ ভাষা দিয়ে আজকের এই রচনাটি সাজানো হয়েছে । আপনি যদি আপনার পরিক্ষার খাতায় সব থেকে বেশি বা ফুল মার্ক পেতে চান তাহলে আপনার জন্য এই রচনাটি ।

কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট

ভূমিকা : বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ । বিজ্ঞানের নতুন নতুন উদ্ভাবন মানুষের জীবনে নিয়ে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন । বিজ্ঞানের প্রায়োগিক দিকের নাম প্রযুক্তি । এই প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাত্রাকে করে তুলেছে আরামদায়ক ।

কৃষি ক্ষেত্রে ও বিজ্ঞানের জয়যাত্রা লক্ষণীয় । অসংখ্য কৃষি প্রযুক্তি কৃষিকাজে বিজ্ঞান ব্যবহার করে এই কৃষিকাজ কে করে তুলেছে আরো সহজসাধ্য । অজস্র উচ্চফলনশীল জাতের ফসল আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে কৃষিপণ্যও হয়েছে সহজ লভ্য ।

সুজলা-সুফলা , শস্য-শ্যামলা আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ । এদেশের উর্বর ভূমিতে যেসব ফসল উৎপাদিত হয় সেগুলোই আমাদের প্রধান সম্পদ । এই সম্পদ যারা উতপাদন করে তাদেরকে বলা হয় কৃষক । গ্রাম বাংলার অসংখ্য কৃষকের মত আমিও একজন কৃষক । কৃষিকাজ করেই আমি আমার এবং আমার পরিবারের ভরণ-পোষণ নির্বাহ করি ।

কৃষির তাৎপর্য : কৃষি ও মানব জীবন ওতপ্রোতভাবে জড়িত । মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার শ্রেষ্ঠ চাবিকাঠি হচ্ছে কৃষি । মানুষের হৃদপিন্ড থেকে রক্ত সঞ্চারিত হয়ে যেমন দেহ যন্ত্রকে সবল ও সচল রাখে তেমনি কৃষি ও মানুষকে যোগান দিয়ে থাকে বেঁচে থাকার অপরিহার্য উপরকণ সামগ্রী ।

কৃষির অতীত-কথা : কৃষি হলো মানব সভ্যতার আদি পেশা । জীবন ধারণের তাগিদে আদিম মানুষ প্রাকৃতিকভাবে উতপন্ন ফলমুল গুহায় নিয়ে আসতো এবং বনজঙ্গলের পশু-পাখি শিকার করতো । প্রকৃতির উপরে পূর্ণ নির্ভরশীলতার কারণে প্রায়ই তাঁদের খাদ্য-সংকটে পড়তে হতো ।

কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট
কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট

বছরের কিছু সময়ে তাঁদের কোন খাবার জুটত না । ফলে খাদ্যের সন্ধানে তাঁদের একস্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়াতে হতো । এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আদিম মানুষ এক পর্যায়ে পশুপালন ও বীজ বপন করতে শেখে । এর ফলে খাদ্যদ্রব্যের সুলভ হয় ।

জীবনযাত্রা হয়ে ওঠে অপেক্ষাকৃত সহজ ও নিশ্চিন্ত । তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের আগ পর্যন্ত কৃষি কাজ ছিল অত্যন্ত শ্রম সাপেক্ষ এবং প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল । 

কৃষি ও সভ্যতা : কৃষি মানুষের আদিম পেশা । কৃষি কাজের মধ্য দিয়েই যাত্রা শুরু মানব সভ্যতার । সভ্যতার অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন স্তরে মানুষ বিভিন্ন পেশা গ্রহণ করলেও খাদ্যের উৎস হিসেবে কৃষির ভুমিকা আজও গৌরবময় । দার্শনিক রুশো বলেন , সব চেয়ে বড় এবং সর্বাধিক গৌরবমন্ডিত শিল্প হচ্ছে কৃষি ।

কৃষি ও বিজ্ঞান : বিজ্ঞানের অবদানে ধীরে ধীরে কৃষি ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটছে । কৃষি কাজকে সহজ ও কম শ্রম সাধ্য করতে কৃষি-বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণা করছেন । ফলে একদিকে যেমন চাষ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসছে এবং ফসল নির্বাচন ও নতুন নতুন ফসল তৈরির কাজে ও অগ্রগতি হচ্ছে ।

কৃষি বিজ্ঞানের এসব গবেষণা পৃথিবীকে আজ শস্য ও ফসলের সমৃদ্ধ করে তুলছে । পৃথিবীর মানুষের জন্য এখন যতটা ফসল দরকার তার চেয়ে অনেক বেশি ফসল পৃথিবীটে ফলছে । জমি কে উর্বর করতে আবিষ্কার হচ্ছে উন্নত ধরনের সার । পুরানো প্রযুক্তির লাঙল মই প্রভৃতির পরিবর্তে ব্যবহ্রত হচ্ছে ট্রাক্টর ।

উদ্ভাবিত হয়েছে উন্নত জাতের বীজ ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত । এতে অল্প সময়ে ও অল্প পরিশ্রমে অধিক ফসল উতপাদন করা সম্ভব হচ্ছে । ফসল এবং বীজ উৎপাদন এবং তা সংরক্ষণ বিজ্ঞান সহযোগিতা করছে । সেচ ব্যবস্থায় এসেছে পরিবর্তন । 

পশু-পাখি ও মাছের রোগজনিত মৃত্যুর হারও হ্রাস পেয়েছে কৃষি-চিকিতসার অগ্রগতির কারণে । এভাবে কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কৃষিকাজের জন্য আশীবার্দ হয়ে উঠেছে ।

বিজ্ঞানের জয়যাত্রা : যেদিন থেকে মানুষ আগুন জ্বালাতে শেখে । যেদিন সে পাথরের অস্ত্র নিয়ে বন্য পশুর সঙ্গে যুদ্ধ আরম্ভ করেছে । যেদিন সে চাকা গড়তে পেরেছে সেদিন থেকেই বিজ্ঞানের জয়যাত্রা শুরু হয়েছে । সেদিন মানুষ আবিষ্কার করল অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় তার ক্ষুদ্র অবয়বে সুক্ষ্ণ অথচ প্রবল বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মস্তিষ্ক ।

কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট

সেদিন প্রকৃতির রহস্য ভেদ করার জন্য নব নব তত্ত্ব আবিষ্কার করল । প্রকৃতিকে আবিষ্কার করার নেশায় অস্থির হয়ে উঠল । কিছুতেই তার তৃপ্তি নেই । তাই প্রকৃতির দেয়া শস্য সম্পদে সে সন্তুষ্ট থাকতে পারেনি । আধুনিক কৃষি বিদ্যা রপ্ত করে নিজের রুচির পরিতৃপ্তি পরিপুষ্টি সাধন করেছে ।

উন্নত বিশ্বে কৃষি : উন্নত দেশগুলোর কৃষি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান নির্ভরশীল । জমিতে বীজ বপন থেকে শুরু করে ঘরে ফসল তোলা পর্যন্ত সমস্ত কাজেই রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার । বিভিন্ন ধরের আধুনিক যন্ত্রপাতি যেম মোয়ার শস্য ছেদনকারী যন্ত্র । রপার হলো ফসল কাটার যন্ত্র এবং বাইন্ডার হলো ফসল বাধার যন্ত্র ।

থ্রেশিং মেশিন হলো মাড়াই যন্ত্র এবং ফিড গ্রাইন্ডার হলো পেষক যন্ত্র । ম্যানিউর স্পেডার হলো সার বিস্তারণ যন্ত্র , মিল্কার হলো বৈদ্যুতিক দোহন যন্ত্র ইত্যাদি উন্নত দেশগুলোর কৃষিক্ষেত্রে অত্যন্ত জনপ্রিয় । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , কানাডা , অস্ট্রোলিয়া , রাশিয়া ইত্যাদি দেশের খামারে ট্রাক্টরের মাধ্যমে একদিনে ১০০ একক পর্যন্ত জমি চাষ করা সম্ভব হয় ।

একই ট্রাক্টর আবার একসঙ্গে ফসল কাটার যন্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করা হয় । এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীন , জাপান , ফিলিপাইন , ভিয়েতনাম , থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেশও কৃষি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর করে গরে তুলছে । এই সব দেশ গুলোতে কৃষি কাজে সব সময় কৃষি বিজ্ঞান করে থাকে ।

কৃষি কাজে বিজ্ঞান কি : বিজ্ঞান হলো জ্ঞানের ভান্ডার । কৃষিকাজের সাথে সম্পর্কিত যে বিজ্ঞান তাকে বলা হয় কৃষিবিজ্ঞান । অর্থাৎ খাদ্য , বস্ত্র , উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াকরণ এর সাথে সম্পর্কিত যে বিজ্ঞান তাকে বলা হয় কৃষি বিজ্ঞান । এক কথায় কৃষিবিজ্ঞান হলো মানুষের ব্যবহারের জন্য উদ্ভিদ , মাটি , চাষ , ফসল উতপাদন , ফসল সংগ্রহ , প্রাণী প্রজন এবং প্রাণী জাতীয় সকল প্রকার প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রযুক্তিই হলো কৃষিবিজ্ঞান ।

কৃষি ও বাংলাদেশ : কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম । বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ের শতকরা ৩৮ শতাংশ আসে কৃষি থেকে এবং রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ১৪ শতাংশ আসে কৃষিজাত দ্রব্য রপ্তানি থেকে । এছাড়া কর্ম সংস্থান ও শিল্পের ভিত্তি হিসেবেও বাংলাদেশ কৃষি খুব গুরুত্বপূর্ণ ।

বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু কৃষিকাজের জন্য খুবই অনুকূল । এদেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর এবং রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক জল-ভান্ডার । আধুনিক প্রযুক্তি উন্নত দেশগুলোর মাটির অনুর্বরতার এবং পানির দুর্লভ তাকে যেভাবে দূর করেছে , তাতে আধুনিক প্রযুক্তি বাংলাদেশের জন্য আরো বেশি সুবিধা নিয়ে আসবে তা স্বাভাবিক ।

কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট

বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থা এখনো অনেকাংশে প্রকৃতির উপরে উপরে নির্ভরশীল । ফলে বন্যা , খরা , জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক সুর্যোগে এখানে প্রচুর ফসল নষ্ট হয় । আবার অনেক সমএ প্রত্যাশার তুলনায় কম ফসল ফলে । কৃষকের কাছে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও কৃষি বিজ্ঞানের জ্ঞান সঠিকভাবে পৌছে না দিতে পারায় এর প্রধান কারণ ।

কৃষকের কাছে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এসব বাঁধা দূর করা যায় । তাছাড়া উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশকেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা যায় । বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে চাষাবাদ করা হচ্ছে । 

বাংলাদেশে কৃষি কাজে বিজ্ঞান : আমাদের দেশে ও এখন কৃষিকাজে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে । মানুষ এখন আর চাতকের ন্যায় বৃষ্টিধারার জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে না । এখন সেচের জন্য ব্যবহার করা হয় গভীর নলকূপ এবং মেশিন চালিত পাম্প । 

বপনের জন্য ব্যবহার করা হয় উন্নত ধরনের বীজ । বীজ সংরক্ষণের সাহায্য নেওয়া হয় বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির । রাসায়নিক সার ব্যবহার করে ফসল উতপাদনের মাত্রা বাড়ানো হচ্ছে । আগে যে জমিতে এক ধরনের ফসল হত । বর্তমান সময়ে সেই জমিতে তিন ধরনের ফসল হয় । 

এর পিছনে হাত রয়েছে কৃষি বিজ্ঞানের । তবে আমাদের দেশের কৃষিকাজ এখনো সম্পূর্ণ যান্ত্রিক করা সম্ভব হয়নি । চাষাবাদ বিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের খাদ্য সমস্যা সমাধান করা সম্ভব করা যাবে এটা নিশ্চিত বলা যায় ।

বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা : কৃষির উন্নতির উপরেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অনেকাংশে নির্ভরশীল । তাই কৃষি বিজ্ঞান ও কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণার কোন বিকল্প নেই । এটা অত্যন্ত আশার কথা যে , বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ইতিমধ্যে বহু নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল ফসল উদ্ভাবন করেছে । 

বহু কৃষি বান্ধব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে এবং বহু ধরনের কৃষিপণ্য বাজার জাত করণের ব্যাপারে নতুন নতুন কৌশল বের করেছে । অর্থাৎ কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ কোনো ক্রমে পিছিয়ে নেই । তবে এখন প্রয়োজন এসব উদ্ভাবনকে দেশের সর্বত্র সহজলভ্য করে তোলা এবং কষককে এসব উদ্ভাবনের সঙ্গে পরিচিত করে তোলা ।

শিক্ষিত জনবলকে কৃষিকাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারলে এবং কৃষিকাজের সঙ্গে তাঁদের যুক্ত করতে পারলে এই কাজ অনেকটা সহজ হয় । তাতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার এবং এর যথাযথ প্রয়োগ সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিন্ত হওয়া যেতে পারে । বর্তমানে সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কৃষকদেরকে নিয়মিত ভাবে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ।

কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট

আমরা সেই মান্ধাতার আমলের রীতিতেই চাষাবাদ করে যাচ্ছি । আমাদের দেশেও চাষাবাদের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবহার ও চর্চার প্রয়োজন রয়েছে । কৃষির উন্নয়নে সরকার ও দেশবাসীর সচেতন হতে হবে । গ্রামের কৃষকদের এখন সমবায়ের ব্যবস্থা নিতে হবে । বুঝতে হবে দশের লাঠি একের বোঝা ।

মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা : জমিতে বীজ রোপনের আগে মাটির গুনাগুন পরীক্ষা করা প্রয়োজন আর এইসব কাজ করা সম্ভব হয় বিজ্ঞানের কল্যাণে । মাটিতে বিভিন্ন ধরনের উপাদান আছে যেমন , অক্সিজেন , নাইট্রোজেন , পটাশিয়াম , ক্যালসিয়াম , ফসফরাস , খনিজ , লবণ , কার্বন , ম্যাগনেসিয়াম ও হাইড্রোজেন । আর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মাটির PH এর মান নির্ণয় । এগুলো জানা থাকলে ফসলের জাত নির্বাচন করা ও সার প্রয়োগ করা সহজ হয় আর এসব কিছুই আমরা জানতে পারি কৃষিকাজে বিজ্ঞানের মাধ্যমে ।

উপসংহার : কৃষিকাজে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি দিন দিন মজবুত হচ্ছে । বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । বাংলাদেশের এই অগ্রগতিকে টেকশই করতে প্রয়োজন কৃষি সংক্রান্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারকে সফজলভ্য করা ।

এছাড়া বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে ফসলহানির আশঙ্কা তৈরি না হয় অথবা উৎপাদিত ফসলের বাজারজাতকরণে যাতে কোনো সমস্যা না হয় । সে সকল ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অন্যান্য শাখাকেও কৃষির স্বার্থে এগিয়ে আসা দরকার ।

সবার আগে দরকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠিকে কৃষি পেশায় আকৃষ্ট করা এবং শিক্ষিত জনশক্তিকে কৃষিকাজে সঙ্গে যুক্ত করা । কেন না শিক্ষিত জনশক্তি কৃষিকাজে এগিয়ে এলে কৃষি বিজ্ঞান ও কৃষি প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার সম্ভব হবে ।

এজন্য সরকারের উচিত কৃষিপেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের , বিশেষভাবে কৃষিকাজে সফল হওয়া ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করা ও সম্মানিত করা । এতে তাঁদের সামাজিক মর্যাদা বাড়বে এবং অধিক সংখ্যক শিক্ষিত লোক কৃষিপেশায় আকৃষ্ট হবে । কৃষি কাজের সঙ্গে বিজ্ঞান প্রযুক্তির সম্পর্ক মজবুত করতে এমন পরিবেশই জরুরি।
আমাদের banglatipsbd সাইটে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে । আপনার সুন্দর একটা মতামত দিন আমাদের সাইট সম্পর্কে । আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কোন প্রকার হেল্প নিতে চান তাহলে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হয়ে থাকেন । আপনাদের মন চাইলে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখতে পারেন আর হ্যাঁ পারলে আমাদের ইউটুব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন । আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *