কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন ? কম্পিউটার ভাইরাস কি কিংবা নতুনদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা এইগুলো আমাদের মধ্যে অনেকেই জানে না আসুন জেনে নেই এই সকল বিষয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ।
কিভাবে নিজে নিজেই খুব সহজে কম্পিউটার শিক্ষা নিবেন ? এইসব ধরণের প্রশ্নগুলো আজ অনলাইনে ইন্টারনেটে অনেকেই করতেছে। কারণ, আজ যেকোন চাকরি করতে গেলে কিংবা যেকোন অফিসের কাজ করার জন্য কম্পিউটারের শিক্ষাটা অনেক জরুরি।
কম্পিউটার কিভাবে চালাবেন কিংবা ব্যবহার করবেন , কম্পিউটার সম্পর্কে যদি আপনার একেবারে কোন জ্ঞান না থাকে, তাহলে আপনি বর্তমান যুগ থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন।যেকোন চাকরি পেতে আপনার অনেক অসুবিধার মুখোমুখি হতে হবে।(How to learn computer in Bangla).
কম্পিউটার শিক্ষা বা কম্পিউটারের জ্ঞান বর্তমান সময়ে এমন প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে ,এই কম্পিউটার ছাড়া বেশির ভাগ কাজ সম্ভব না।আর এজন্যই বর্তমান সময়ে সরকার প্রত্যেক টা স্কুলে স্কুলে বাচ্চাদের কম্পিউটার শিক্ষা দিতেছে।
কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন
কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন এর সঠিক উত্তরটি হলো চার্লস ব্যাবেজ । ১৮৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে চার্লস ব্যাবেজ অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের জন্য পরিকল্পনা করেন । তিনি একজন ইংরেজি ও গনিতবিদ ছিলেন । কম্পিউটারের উদ্ভাবক ছিলেন চার্লস ব্যাবেজ , প্রথম স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল কম্পিউটার কল্পনা করার কৃতিত্ব একমাত্র চার্লস ব্যাবেজ এর ।
আপনি যেকোনো অফিস কার্যালয়ে গিয়ে দেখলেই বুঝবেন কম্পিউটার শিখার কি প্রয়োজনীয়তা আছে। একটি অফিসে কেউ Microsoft excel এ ডাটা এন্ট্রির কাজ করতেছে ।কেউ ভিডিও বা ছবি এডিটিং এর কাজ করতেছে। কেউ বা ট্যালি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে হিসাব করতেছে।আবার কেউ কেউ দেখবেন কম্পিউটার ইন্টারনেট ব্যবহার করে কাজ করতেছে।
তাছাড়া আপনার যদি নিজের কোন ব্যবসা থাকে তাহলে কম্পিউটারের সঠিক ব্যবহার কোরে নিজের কাজ হিসাব খুব সহজে করতে পারবে । তাহলে একটি কম্পিউটার ব্যবহার করে আজ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের কাজ করতেছে ।তার পাশাপাশি নিজের কাজ করে ফেলতেছে খুব সহজে ।
কম্পিউটার ব্যবহার করে আজ প্রত্যেকটি প্রাইভেট বা গর্ভমেন্ট কার্যালয়ে কাজ করতেছে।সব চেয়ে বড় কথা হলে বাংলাদেশের কিংবা বিদেশের যেকোন চাকরি নিতে গেলে আপনাকে কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবেই।কিংবা কম্পিউটার চালানো জানতে হবে ।
কম্পিউটার ভাইরাস কি
কম্পিউটার ভাইরাস কি আমরা অনেকই জানিনা কারণ আমরা শুধু কম্পিউটার চালাই কিছু বুঝি না । কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের সফটওয়্যার যা তথ্য ও উপাত্তকে আক্রমন করে । কম্পিউটার ভাইরাস নিজের সংখ্যা বৃদ্ধি করে । কম্পিউটার ভাইরাস এমন এক ধরনের ফাইল বা প্রোগ্রাম যেগুলো কম্পিউটারের স্বাভাবিক ফাইল বা প্রোগ্রামকে নষ্ট করে দিতে এক সেকেন্ড সময় লাগে । ইহা ব্যবহারকারির অনুমতি ছাড়াই নিজেরা নিজেদের কপি তৈরি করতে পারে ।
বর্তমান সময়ের সাথে যদি নিজেকে আপডেট করে রাখতে চান তাহলে আপনাকে কম্পিউটার শিখতেই হবে ।কম্পিউটার শিক্ষা কিংবা ব্যবহার জানা থাকলেই আপনি সবগুলো ধরনের কাজ করতে নিজেকে তৈরি করে নিতে পারবেন।
এবার আসুন জেনে নেই কিভাবে খুব সহজে ঘরে বসে কম্পিউটার শিখবো।কিভাবে খুব সহজে কম্পিউটার শিখার নিয়ম বা কম্পিউটার শিখার উপায় গুলি ব্যাপারে।কম্পিউটার চালানো এমনিতেই খুব সহজ যে কেউ চালাতে পারবে।এর জন্য আপনাকে রেগুলার প্রাকটিস করতে হবে।
নতুনদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা
নতুনদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য আপনাকে এই ব্লগে স্বাগতম।বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে এমন কিছু নাই যে কোন কিছুর উত্তর খুজে পাওয়া যায় না।হাজার হাজার মানুষ ইন্টারনেটে অনেক কিছু নিজে নিজে শিক্ষা নিতেছে।কেবল কম্পিউটারেই নয় ,যেকোনো জিনিসের শিক্ষা বা জ্ঞান নিতে পারবেন ইন্টারনেটে।
আপনাদের একটি স্মার্টফোন এবং তাতে ইন্টারনেট প্যাক থাকলেই ইন্টারনেট সব কিছুর শিক্ষা নিতে পারবেন।তারপর ইন্টারনেটের বিভিন্ন শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই কম্পিউটার শিক্ষা নিতে পারবেন।আমি নিজে নিজে কম্পিউটারের সব কিছু শিখতে পারছি বলেই আপনাকে এ কথা বলতেছি।
কিভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার কম্পিউটার শিখবেন
আপনার কাছে একটি android mobile ফোন থাকলে হবে তাতে শুধু ইন্টারনেট প্যাক নিয়ে কম্পিউটার শিখতে পারবেন ।আমি আজকে যে ৪ টি উপায় নিয়ে আলোচলনা করবো সেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজে ঘরে বসেই কম্পিউটার শিখতে পারবেন।
কম্পিউটারে কী শিখতে চাচ্ছেন
কম্পিউটারের মধ্যেম আপনি কি শিখতে চাচ্ছেন,মানে কম্পিউটার(computer) হলো এমন একটি ডিভাইস, machine যেখানে বিভিন্ন রকমের সফটওয়্যার (software) এবং হার্ডওয়্যার এর দারা কাজ সম্পণ হয়।
কম্পিউটারে অনেক কিছু শিখার আছে।এক কথায় বলা যায় কম্পিউটারে শিখার কোন শেষ নেই।মানে আপনি যদি আগে কখনো কম্পিউটার চালান নাই তাহলে আপনি আগে কম্পিউটারে বেসিক্স শিখতে হবে ।অফিসিয়াল কাজের জন্য ডাটা এন্ট্রি কাজ শিখতে হবে ।ডাটা এন্ট্রি কাজ শিখলে আপনি বিভিন্ন রকমের হিসাব কিতাব করতে পারবেন tally microsoft excel এর মাধ্যমে।
এছাড়াও আরোও বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমেও কাজ করা যায় যেমন DTP, Microsoft office, photoshop এর কাজ করে অনেকেই ।যেগুলো আপনি ও শিখতে পারেন।কিন্তু আপনি কিসের জন্য কম্পিউটার শিখতেছেন সেটার আপনার উপর নির্ভর করে ।আপনার জন্য কোন computer course টা আপনার জন্য শেখা খুব জরুরি।সেটা আপনি নিজেই ভাবেন ।সেই কোর্স টি চালাতে হবে।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫টি উপায়ে কম্পিউটার শিখুন
যে ৪টি উপায়ে অনলাইন থেকে ঘরে বসেই খুব সহজেই কম্পিউটার শিখতে পারবেন ।সেগুলো হলো যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে দেখেন তাই আপনি নিজেকে একজন এক্সপার্ট বানাতে পারবেন।তার জন্য আপনাকে শুধু প্রাক্টিস(practice) করতে হবে।সেগুলো হলোঃ
কিভাবে ইউটিউবের দ্বারা কম্পিউটার শিখবেন
ইউটিউব হলো ইন্টারনেটে অনলাইন যেকোনো জিনিস শেখার সব থেকে সেরা মাধ্যম।কারণ, ইউটিউবে হাজার হাজার টিউটোরিয়াল ভিডিও আছে যা লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখে শিখতেছে।
আপনি ইউটিউব থেকে কম্পিউটার বেসিক বা অন্য কম্পিউটার মাস্টার কোর্স শিখতে পারেন। বেসিক কম্পিউটার শিখার জন্য অবশ্যই ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন। এর জন্য আপনি মোবাইল ভিডিও দেখে দেখে কম্পিউটার চালানো শিখতে পারেন।
ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন ভাষায় হিন্দি , বাংলা , ইংরেজি এছাড়াও আরো বিভিন্ন ভাষায় ভিডিও দেখে কম্পিউটার শিখতে পারবেন।
আপনি ইউটিউবে একবার কম্পিউতার কোর্স বা কম্পিউটার বেসিক কোর্স লিখে সার্চ করেই দেখুন। অনেক ভালো ভালো টিউটোরিয়াল দেখে আপনি কম্পিউটার শিখতে পারবেন।
শুধু কম্পিউটার চালানো না Microsoft office, excel, photoshop, Tally এছাড়াও আরো অনেক কিছুর ভিডিও পাবেন ইউটিউবে।ইউটিউবে সেই সব ভিডিও দেখে ঘরে বসে খুব সহজে কম্পিউটার শিখতে পারবেন।
কম্পিউটার টিওটোরিয়াল পিডিএফ(PDF) এর মাধ্যমে কম্পিউটার শিক্ষা
ইউটিউব থেকে যেমন ভিডিও দেখে কম্পিউটার শিক্ষা নিতেছেন ঠিক সেইভাবে বিভিন্ন ই-বুক ফাইল ডাইউনলোড করে আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে ই-বই পড়ে কম্পিউটার শিখতে পারেন।
PDF এমন কিছু ফাইল, যেখানে যেকোনো জিনিস বিষয় বা টপিকের বিষয়ে টেক্সট(Text) এবং ছবির মাধ্যমে কম্পিউটার শিখতে পারেন।
ইউটিউবে যেমন বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটার শিক্ষার টিওটোরিয়াল পাওয়া যায় ঠিক তেমনি পিডিএফ ওতে বই পাওয়া যায় সেখানেও কম্পিউটার কোর্স পাওয়া যায় । বই পড়ার মাধ্যমেই আপনি ঘরে বসেই খুব সহজেই কম্পিউটার শিখতে পারেন।
অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের কোর্স করে কম্পিউটার শিখুন
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে লক্ষ লক্ষ কোর্স আছে প্রায় সব কিছু শেখানোর উপরে।যা দেখে যে কেউ ঘরে বসেই কম্পিউটার থেকে শুরু করে সব ধরণের কাজ শিখতে পারবে।
গুগল সার্চ ইঞ্জিলে একবার অনলাইন কম্পিউটার কোর্স লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন হাজার হাজার কোর্স যা দেখে ঘরে বসেই খুব সহজেই কম্পিউটার শিখতে পারবেন।
Apps ব্যবহার করে কিভাবে কম্পিউটার শিখবেন
বর্তমান সময়ে গুগল প্লে-স্টোরে অনেক (Android apps) ফ্রিতে পেয়ে যাবেন ।যা মোবাইল এ ইন্সটল করে অনলাইনে অফলাইনে ঘরে বসেই খুব সহজেই কম্পিউটার শিখতে পারবেন।
কী-বোর্ডের কন্ট্রোল কী কয়টি
কী-বোর্ডের কন্ট্রোল কী কয়টি , কম্পিউটার কী-বোর্ড , বিজয় কী-বোর্ড পরিচিতি ও ব্যবহার ? কম্পিউটারের কী-বোর্ডের খুঁটিনাটি সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো । আমাদের কাছে অনেকেই এই ধরণের প্রশ্ন প্রতিনিয়ত করে থাকেন । আবার অনেকেই গুগল ও ইউটিউব এ এইসব লিখে সার্চ করে থাকে ।
কী-বোর্ডের কন্ট্রোল কী কয়টি
কম্পিউটার এর প্রধান ইনপুট ডিভাইস হলো কী-বোর্ড (Keyboard)। কী-বোর্ড কম্পিউটারের একটি ইনপুট ডিভাইস । কী-বোর্ডে কিছু বাটন বিন্যস্ত করা থাকে । এই বাটন গুলোকে চাপ দিলে ইলেকট্রনিক সুইচ বা মেকানিক্যাল লিভারের মতো কাজে করে থাকে ।
কী-বোর্ডের (Keyboard) এই সকল সুইচগুলোকে বলা কী । কম্পিউটারে এক একটি চিহ্ন তৈরি করতে হলে কী-বোর্ডের এক বা একাধিক কী চাপতে হয় কিংবা চেপে ধরতে হয় । সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে টার্চস্ক্রিন ,পেন ও ভয়েস রিকগনিশন এসেছে তার পরেও কীবোর্ডের ব্যবহার সব থেকে বেশি হয়ে থাকে । কী-বোর্ডের এই ডিভাইসটি বহুমূখী ইনপুট ডিভাইস ।
বিজয় কী-বোর্ড পরিচিতি ও ব্যবহার
কী-বোর্ডের (Keyboard) বিভিন্ন ফাংশন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কী সাজানো থাকে । এই সকল কী গুলো বেশ কয়টি মিলে আলাদা আলাদা নামে পরিচিতি আছে । কিন্তু হ্যাঁ সকল কী-বোর্ডের (Keyboard) মান সমান কী থাকে না ।আপনি কী বোর্ডের মূল কী ব্যবহারের ছাড়া কী এর সংখ্যায় কোম্পানি অনুযায়ী ভিন্নতা রয়েছে ।
একটি কী-বোর্ডে সর্বনিম্ন ৮৪ টি বাটন এর নিচে কী-বোর্ড হয় না ।কী-বোর্ড (Keyboard) ভেদে কী-বোর্ডের কী ১০১টি আবার কিছু কিছু কী-বোর্ডের ১০৪ টি কী থাকে । ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের কী-বোর্ডকে প্রায় ৫ টি ভাগে ভাগ করা যায় ।
১. ফাংশন কী
২. অ্যারো কী অথবা এডিট কী
৩. আলফাবেটিক কী অথবা আলফা-নিউমেরিক কী
৪. নিউমেরিক কী অথবা লজিক্যাল কী
৫. বিশেষ কী অথবা কমান্ড কী
ফাংশন কী
একটি কী-বোর্ডের (Keyboard) উপরে লক্ষ করবেন এক ডজন কী আছে । যেগুলোকে সাংকেতিক চিহ্ন F1 থেকে F12 পর্যন্ত এই ১২টি কী কে একত্রে ফাংশন বলে । এই ১২টি কী ফাংশনের মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট কাজ করা হয়ে থাকে ।কোন প্রোগ্রামের জন্য সাহায্য কিংবা কোন প্রোগ্রাম চালু করা ইত্যাদি কাজের জন্য এই কীগুলো ব্যবহার করা হয়।
অ্যারো কী
কী-বোর্ডের (Keyboard) ডান পাশে নিচের দিকে চার অ্যারো বা তীর চিহ্ন কী আছে । আবার কিছু কিছু কী-বোর্ডের উপরের দিকে এই চারটি কী থাকে ।এই চারটি অ্যারো কী দ্বারা কার্সরকে খুব সহজে ডানে-বামে ও উপরে-নিচে সরানো যায় । কেউ কেউ এই চারটি অ্যারো কী কে এডিট কীও বলে থাকে ।এই চারটি কী এডিট টেক্সট করার কাজে ব্যবহারিত হয় ।
আলফাবেটিক কী
কী-বোর্ডের (Keyboard) যে অংশে ইংরেজি বর্ণমালা এ টু জেড () পর্যন্ত মোট ২৬টি কী সাজানো থাকে সেই অংশটিকে আলফাবেটিক বা আলফা-নিউমেরিক কী বলে ।কী-বোর্ডের এই আলফাবেটিক কী ছাড়া কী-বোর্ড অচল কিন্তু অন্য সব কী ছাড়া কী-বোর্ড চলবে।কী-বোর্ডের এই মূল অংশকে কী-বোর্ডের প্রাণ বলা হয় ।
নিউমেরিক কী বা লজিক্যাল কী
কী-বোর্ডের (Keyboard) একবারে ডান পাশে শূণ্য থেকে নয় (০থেকে৯) পর্যন্ত সংখ্যা বিশিষ্ট আলাদা আলাদা কীগুলোকে নিউমেরিক কী বা লজিক্যাল কী বলে। এখানে শুধু সংখ্যাই নাই আরো রয়েছে +,-,*,/ গাণিতিক কী । শুধু গাণিতিক কীই নয় Num Lock, Delete ,Enter এই সমস্ত লজিক্যাল কী ও আছে । এই সব গাণিতিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যাকে কেউ কেউ ক্যালকুলেটর বলে থাকে ।
বিশেষ কী
উল্লেখিত কী গুলো ছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কী । যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্ণ করতে এই বিশেষ কী এর প্রয়োজন হয় । নিচে বিশেষ কী গুলোর বিবরণ তুলে ধরা হয়েছেঃ-
- Esc: এই কী এর সাহায্যে কোন নির্দেশ বাতিল করা হয় ।
- Tap: নাম্বার ,কলাম , অনুচ্ছেদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বা বিশেষ কোনো কাজে এই কী ব্যবহার করা হয় ।
- Caps Lock: এই কী চাপ দিলে কীবোর্ডের ডান পাশে সবুজ বাতি জ্বলে থাকে ।তখন বড় হাতের অক্ষর টাইপিং হয়। এই কী ব্যবহার করে ইংরেজি হাতের অক্ষর বড় হাতের ও ছোট হাতের টাইপ করা হয় ।
- Shift: এই কী ব্যবহার করে বিভিন্ন ফাংশন কী চাপা যায় আবার কম্পিউটারের বিভিন্ন কমান্ড দেওয়া যায় এই কী দ্বারা । এই ওয়ার্ড কে বড় হাতের বা ছোট হাতের করার জন্য এই কী চাপ দিয়ে কোন অক্ষর চাপ দিলে বড় হাতের হবে আবার চাপ ছেড়ে দিলে ছোট হাতের হবে ।
- Ctrl: এই কী সাথে বিশেষ কী এক সাথে চাপ দিলে কম্পিউটারে কিছু কমান্ড দেওয়া যায় । কী-বোর্ডের ডানে ও বামে দুইটি এই কী দেখতে পাবেন যা ব্যবহারকারীর সুবিধা বাড়ায় কয়েক গুন।
- Alt: কী-বোর্ডের দুই পাশে এই কী দেওয়া আছে ।এই কী বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়ার জন্য এই কী ভিন্ন ভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
- Enter: এই কী মূলত ওকে নির্দেশ করে ।কম্পিউটারকে কোন নির্দেশ দিতে হ্যাঁ কার্যকর করতে এই কী ব্যবহার করে ।লেখার ক্ষেত্রে নতুন প্যারা তৈরি করতে এই কী ব্যবহার করা হয়।
- Print Screen(Prtsc SysRq) : স্ক্রীণের সব কিছু খুব সহজে সেগুলোকে ক্যাপচার করে নেওয়া জন্য এই কী ব্যবহার করা হয় । এক কথা একে স্ক্রিনশট বলে ।
- Pause Break: কম্পিউটারের কোন কিছু দ্রুত গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে এই কী ব্যবহার করা হয় ।যদি দ্রুত গতির কারণে কিছু পড়তে আপনার অসুবিধা হয় তাহলে এই কী চেপে পড়তে পারবেন।
- Delete: কম্পিউটারের কোন কিছু মুছে ফেলার জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটারে কোন কিছু সিলেক্ট করে এই কী চাপলে খুব সহজেই আপনার চোখের সামনে থেকে দূরে হয়ে যাবে ।
- End: মাউসের কারসর পয়েন্ট কথায় থাকুক না কেন এই কী চাপ দিলে দ্রুত গতিতে পৃষ্ঠার একদম নিচে চলে আসবে ।
- Home: কারসর কে পাতার প্রথমে আনতে এই কী ব্যবহার করা হয় ।
- Page Up: পেজের উপরের দিকে উঠতে এই কি ব্যবহার করা হয় ।
- Page Down: পেজের নিচের দিকে আনতে এই কী ব্যবহার করা হয় ।
- Insert: কোন লেখার মাঝে মাঝে কিছু লিখলে তা সাধারনত ডান দিক থেকে শুরু হয় ।এই কী চেপে লিখলে তা পূর্ববর্তী বর্ণের উপরে ওভার রাইটিং হয় ।কাজ শেষে আবার এই কী চাপলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে ।
- Backspace: কোন লেখার পিছনের অংশ মুছে ফেলার জন্য এই কী ব্যবহার করতে হয় ।
- Space Bar: কী-বোর্ডের কীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে লম্বা কী হলো এই কী। লেখার মাঝে ফাঁকা রাখার জন্য এই কী ব্যবহার করতে হয় ।
- Num Look: এই কী চাপা থাকলে ডান দিকের কী গুলো চালু হবে ।
মাল্টিমিডিয়া কী
কী-বোর্ডের আরও চারটি কী আছে এগুলোকে মাল্টিমিডিয়া কী বলে ।
১.Stand by Mood: এই কী চাপ দিলে কম্পিউটার চালু থাকবে কিন্তু মনিটর বন্ধ হয়ে যাবে ।
২. Mail Key: এই কী চাপ দিলে আউটলুক এক্সপ্রেস চালু হয় এবং তা দিয়ে মেইল পাঠানো হয় কিন্তু হ্যাঁ অবশ্যই ইন্টারনেট চালু থাকতে হবে ।
৩. Web Key: এই কী ব্যবহার করে সরাসরি ওয়েব সাইটে বা ব্রাউজার ওপেন করা যায় ।
৪. Start Menu Key: এই কী চাপ দিলে ষ্টার্ট মেনু ওপেন হয়ে যাবে এবং প্রয়োজনীয় কমান্ড করা যাবে।
আমাদের banglatipsbd সাইটে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে । আপনার সুন্দর একটা মতামত দিন আমাদের সাইট সম্পর্কে । আপনাদের মন চাইলে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখতে পারেন আর হ্যাঁ পারলে আমাদের ইউটুব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন । আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।