অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট Class 6,7,8,9,10,11,12

অধ্যবসায় যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি রচনা । অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট এই রচনাটি পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা ৯৮% বেশি থাকে । অন্যান্য যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ রচনা আছে তার মধ্যে অধ্যবসায় রচনাটি অন্যতম । অধ্যবসায় রচনাটি আপনি একবার দেখলেই আপনার মুখস্ত হয়ে যাবে । আপনি যদি ভালো মার্ক পেতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন ।

স্বদেশ প্রেম রচনা ২০ পয়েন্ট Class 6,7,8,9,10,11,12

সংক্ষেপে বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা Class 6,7,8,9,10,11,12

প্রিয় শিক্ষাথী বন্ধুরা আপনারা যারা পরিক্ষার খাতায় অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট লিখবেন তাঁদের সব থেকে ভালো মার্ক দিবে । আর আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আপনাদের জন্য আজকে অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট নিয়ে হাজির হইলাম । আর দেরি না করে চলুন দেখে নেই আজকের অধ্যবসায় রচনা সহজ মুখস্ত করা যায় । 

অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

সুচনা : ব্যর্থতা কেউ চায় না । সবাই সাফল্য খোঁজে । কিন্তু কেউই সব কাজে একবারে সফল হয় না । সফলতার জন্য বার বার চেষ্টা করতে হয় । কোনো কাজে সাফল্য লাভের জন্য বার বার এই চেষ্টার নামই অধ্যবসায় । অধ্যবসায় ছাড়া জীবনে উন্নতি লাভ করা যায় না । অধ্যবসায়ই হচ্ছে মানব সভ্যতার অগ্রগতির চাবিকাঠি ।

অধ্যবসায় কী : অধ্যবসায় শব্দের আভিধানিক অর্থ অবিরাম সাধনা বা ক্রমাগত চেষ্টা করা । কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য অবিরাম সাধনা বা ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াকে বলে অধ্যবসায় । ব্যর্থতায় নিরান না হয়ে কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্যের সাথে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছানোর মধ্যেই অধ্যবসায়ের সার্থকতা নিহিত ।

অধ্যবাসায়ের শিক্ষা : মানব জীবনে ব্যর্থতা থাকবে না এমনটা হওয়ার কোন সুযোগ নেই । ব্যর্থতা আসবে এটাই স্বাভাবিক যারা ব্যর্থতার পরেও পিছু পা না হয়ে সাফল্যের উদ্দেশ্যে দৃঢ় প্রেচেষ্টা দ্বারা লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে তারাই সফলতা অর্জন করতে পারে ।

বিশ্বের উন্নত দেশ গুলো এবং সফল ব্যক্তিদের জীবন লক্ষ্য করলে দেখা যায় তারা প্রত্যেকের সফলতার পিছে অধ্যবসায়ের হাত রয়েছে । দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিদ্রোহী আন্দোলনে বিপ্লবী নেলসন ম্যান্ডেলা বলেন–

The greatest glory in living lines not in never falling 

But in rising every time you fall

অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

অধ্যবাসায় অ আত্নবিশ্বাস : মানিব জীবনে সফলতার আরেকটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে আত্নবিশ্বাস । নিজের প্রতি যদি বিশ্বাস থাকে , যে হ্যাঁ আমি পারব তাহলে জীবনে কোন কিছু করাই অসম্ভব বলে মনে হবে না । সফল তারাই যারা সকল বাঁধা-বিপত্তি পার হয়ে আত্নবিশ্বাস রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যায় ।

বিশ্বসের বড় বড় ব্যক্তিবর্গের সাফল্যের পিছনে রয়েছে তাঁদের আত্নবিশ্বাস আর অধ্যবসায় । বিল গেটস যখন কলেজ থেকে ড্রপ আউট করেছিলেন তখন শিক্ষকরা ভেবেছিল ছেলেটা গোল্লায় গেল । তবে তিনি আজ বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন এবং মাইক্রোসফট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ।

অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা : ব্যর্থতাই সফলতার প্রথম সোপান । ব্যর্থতা থেকে সাধনার শুরু আর সফলতার মাধ্যমে তার শেষ । তাই মানব জীবনে সাধনা বা অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই । অধ্যবসায়ী মানুষ অসাধ্য সাধন করতে পারে ।

এমনকি অধ্যবসায়ের গুণেই মানুষ পৃথিবীতে অমরত্ব লাভ করতে পারে । তাই মানব জীবনে অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম । অধ্যবাসায় ছাড়া এ জগতে কেউ সফল হতে পারে নাই এবং পারবেও না । পৃথিবীতে যা কিছু মহান , যা কিছু কল্যাণকর তার সবই অধ্যবসায় দ্বারা অর্জিত হয়েছে । 

মানব জীবনে নানা বাধা-বিপত্তি এসে তার চলার পথকে বাদা দিতে চায় । আমাদেরকে এই বাঁধা পেরিয়ে সফলতা আনতে হবে । এ অবস্থায় ভেঙ্গে না পরে ধৈর্যের সাথে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে । আর এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই আমরা সফলতা লাভ করবো ।

অধ্যবসায়ের গুরুত্ব : কোন কাজে সফলতা লাভের জন্য বার বার চেষ্টা করাকে অধ্যবসায় বলে । অধ্যবসায় সফলতা লাভের একমাত্র হাতিয়ার । কেবলমাত্র অধ্যবসায়ের গুণেই যাবতীয় বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছা যায়। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব । মানুষের এমন কোন কাজ নেই , যা সে পারে না যদি সে চেষ্টা করে ।

ব্যক্তি জীবনে অধ্যবসায় : মানব জীবন সুখী ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলার ক্ষেত্রে অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম । অধ্যবসায় ছাড়া এ জগতে কেউ সফল হতে পারে নি । পৃথিবীতে যা কিছু মহান , যা কিছু কল্যাণকর তার সবই অদ্যবসায় দ্বারা অর্জিত হয়েছে ।

মানব জীবনে নানা বাঁধা -বিপত্তি এসে তার চলার পথকে বিঘ্নিত করে দিতে চায় , রুদ্ধ করে দিতে চায় নিশ্চিত সফলতার পথ । এ অবস্থায় ভেঙ্গে না প্রে ধৈর্যের সাথে প্রচেষ্টা চাইয়ে যান । রাতের অন্ধকারের পর যেমন করে আসে আলোকোজ্জ্বল দিন তেমনি করে বিফলতার পর আসে সফলতা ।

.

অধ্যবসায়ীর দৃষ্টান্ত : বর্তমান পৃথিবীতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের যারা বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেছেন তাঁদের সকলেই অধ্যবসায়ী ছিলেন । স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রাশ তার যুদ্ধের মাধ্যে আমাদেরকে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব শিখিয়েছেন । অধ্যবসায় কোন ব্যক্তির জীবনে এমনি এমনি সফলতা এনে দেয় না । সফলতার পিছনে রয়েছে অধ্যবসায় ।

মানব সভ্যতাই অধ্যবসায় : আজকের আমাদের এই আধুনিক জগতে সব আমাদের পূর্ব পুরুষদের অধ্যবসায়ের ফল । প্রাচীনকাল থেকে মানুষ যেমন গুহায় বা বন জঙ্গলে বসবাস করত । তখন রাষ্ট্র সমাজ বলতে কিছুই ছিল না । কিন্তু এখন বর্তমান সময়ে আস্তে আস্তে মানুষের দীর্ঘ অধ্যবসায়ের কঠর প্ররিশ্রমের কারনেই এই আজকের এই মানব সভ্যতা উন্নতি হয়েছে ।

আধি যুগে মানুষ বুক ভরা স্বপ্ন দেখতো আর আজকে আমরা বাস্তব রুপে দেখতে পাইতেছি । যুগ যুগ ধরে মহামানবের জ্ঞানের সমন্বয়ে এবং অধ্যবসায়ের কারণেই আজ পুরো পৃথিবী আমাদের হাতে মুঠোয় । মানব সভ্যতার উন্নতি এমনি এমনি আসে নাই । মানুষের কঠিন প্রচেষ্টা এবং কঠোর অধ্যবসায়ের ফলে আজকে আমরা পেয়েছি একটি উন্নত সভ্যতা ।

অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

মনীষীদের জীবনে অধ্যবসায় : জগতে যারা মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আদর্শ হয়েছেন তাঁদের প্রত্যকেই ছিলেন অধ্যবসায়ী । মহাকবি ফেরদৌসীর অমর মহাকাব্য শাহনামা দীর্ঘ তিরিশ বছরের কাব্যপ্রয়াস । জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাশ বিশ বছরের সাধনায় রচনা করেন বাংলা ভাষার অভিধান ।

যে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ছাড়াই একক প্রচেষ্টায় প্রায় দু হাজার প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহ করেন খ্যাত্নামা সংগ্রাহক আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ । বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানী নিউটনের অনুষ্ঠান স্বীকৃতি । বিজ্ঞানে তার অবদান মুল্যে আছে বহু বছরের একনিষ্ঠ সাধনা ও নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম ।

বিজ্ঞানে অধ্যবসায় : পৃথিবী সমস্ত ক্ষেত্রেই অধ্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম । অধ্যবসায়ের মধ্যে রয়েছে এক বিশেষ বিজ্ঞান । প্রতিটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পেছনে লক্ষ্য করলে অধ্যবসায়ের দৃষ্টান্ত দেখতে পারবেন খুব সহজে । আময়া বর্তমান সময়ে যে সকল বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহার করি সেগুলো আবিষ্কার এতটাও সহজ ছিলো না ।

 বৈজ্ঞানিকদের আত্নবিশ্বাস আর প্রচেষ্টা এবং অধ্যবসায়ের ফলেই আজ পুরো বিশ্বে এত উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার আছে । বিজ্ঞান থেকে আমরা অধ্যবসায়ের শিক্ষা গ্রহন করতে পারি । এই বিজ্ঞানী আমাদের কে শিক্ষা দেয় কিভাবে অধ্যবসায় করতে হয় ।

অধ্যবসায়ের মূল্য : মানব জীবনের অধ্যবসায়ের মূল্য অনেক বেশি । মানুষের জীবনের যত বিপদ-বিপত্তি আসুক না কেন অধ্যবসায়ের সব সময়ই বিপদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেই আমরা সফলে সক্ষম হবো । যেমন আমরা বলতে পারি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা , ভূমিধস , নদী ভাঙ্গন ইত্যাদি থেকে মানুষ ভীত না হয়ে এসবের মোকাবেলা করে আস্তেছে । মানুষের সাহসিকতা আর আত্নবিশ্বাসই হলো অধ্যবসায়ের মূল মন্ত্র ।

ছাত্রজীবনে অধ্যবসায় : ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি । ছাত্র জীবনই ভবিষ্যত গড়ার উপযুক্ত সময় । এ সময় ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ মানব জীবনই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় । যে ছাত্র অধ্যবসায়ী , সাফল্য তার হাতের মুঠোয় । অলস ছাত্র-ছাত্রী মেধাবী হলেও পড়াশোনা কখনো সফল হতে পারে না ।

কঠোর অধ্যবসায় ছাড়া কোনো কাজেই জয়ী হওয়া যায় না । ছাত্রজীবনেই এই সত্য উপলব্ধি করে নিজেকে অধ্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে । মনে রাখতে হবে কবি কালীপ্রসন্ন ঘোষের বিখ্যাত উক্তি–

পারিব না একথাটি বলিও না আর
কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার
পার কি না পার কর যতন আবার
একবার না পারিলে দেখ শতবার ।

অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম সর্বাধিক । অলস ও পরিশ্রম বিমুখ ছাত্র কখনো বিদ্যার্জন করতে পারে না । অধ্যবসায়ী ছাত্র অল্প মেধাসম্পন্ন হলেও সাফল্য লাভ করতে পারে । অধ্য্যনকে একমাত্র তপস্যা জ্ঞান করে চেষ্টা চালিয়ে গেলে যে কোন ছাত্রের পক্ষেই সফলতা লাভ করা সম্ভব ।

অধ্যবসায় ও প্রতিভা : অধ্যবসায় প্রতিভার চেয়ে অনেক বড় । মনীষী ভুলতেয়ারের ভাষায় , প্রতিভা বলে কোনো কিছু নেই । পরিশ্রম ও সাধনা করে যাও তাহলে প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করতে পারবে । ডালটন বলেছেন , লোকে আমাকে প্রতিভাবান বলে , কিন্তু আমি পরিশ্রম ছাড়া আর কিছু জানি না ।

বিজ্ঞানী নিউটনের উক্তি , আমার আবিষ্কার প্রতিভা প্রসূত নয় , বহু বছরের অধ্যবসায় ও নিরবচ্ছিন্ন সাধনার ফল । এ থেকেই বোধা যায় , অধ্যবসায় ও পরিশ্রম ছাড়া শুধু প্রতিভার কোনো মূল্য নেই । প্রতিভাবান ব্যক্তিরা অধ্যবসায় দ্বারাই নিজের কাজে সুসম্পন্ন করে তোলেন । আবার অধ্যবসায়ের দ্বারা অনেকে প্রতিভাবান হিসেবে সুনাম অর্জন করেন ।

অধ্যবসায় সাফল্যের চাবিকাঠি : অধ্যবসায় স্বপ্ন পূরণ এবং সাফল্যের মুল চাবিকাঠি । উন্নত জীবন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম । শিক্ষাজীবনে , ব্যক্তি জীবনে , মানব সভ্যতায় , মনীষীদের জীবনে , বিজ্ঞানের এমন কি জাতীয় জীবনে উন্নতির এবং সফলতার পেছেন রয়েছে অধ্যবসায় । এক কথায় বলা যায় অধ্যবসায় ছাড়া কেউ কখনো সাফল্য হতে পারে নাই আর পারবেও না । তাই বলা যায় সাফল্যের চাবিকাঠি হচ্ছে অধ্যবসায় ।

অধ্যবসায়ের উদাহরণ : পৃথিবীতে যেসব মনীষী সাফল্যের উচ্চ শিখরে আরোহণ করে অমরত্ব লাভ করেছেন তারা সুলেই ছিলেন অধ্যবসায়ী । স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রাস ও ফ্রান্সের বিখ্যাত ঐতিহাসিক কার্লাইল অধ্যবসায়ের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ । 

রবার্ট ব্রুস বারবার ইংরেজদের কাছে পুরাজিত হয়েও যুদ্ধ জয়ের আশা ও চেষ্টা ত্যাগ করেন নি । ষষ্ঠবার পরাজিত হয়ে তিনি যুদ্ধ চিন্তায় মগ্ন আছেন , এমন সময় দেখতে পেলেন একটি মাকড়সা বার বার কড়ি কাঠে সুতা বাধবার চেষ্টা করছে এবং ব্যর্থ হচ্ছেন । 

এইভাবে ছয়বার ব্যর্থ হয়ে সপ্তমবারে মাকড়সাটি সফল হন । এই দেখে রবার্ট ব্রুস ও সপ্তমবার যুদ্ধ করে ইংরেজদের পরাজিত করেন এবং স্কটল্যান্ড এর উপর নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন । মনীষী কার্লাইল তার লেখা ফরাসি বিপ্লবের ইতিহাসের পান্ডুলিপি এক বন্ধুকে পড়তে দিয়েছিলেন ।

বন্ধুর বাড়ির কাজের মহিলা সেটিকে বাজে কাগজ ভেবে পুড়িয়ে ফেলেন । কার্লাইল এতে একটি ও দমে যান নি । তিনি আবার করে বইখানা লিখে বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়েছিলেন । সম্রাট নেপোলিয়ান , আব্রাহাম লিঙ্কন , ক্রিস্টোফার কলম্বাস প্রমুখ মনীষীর জীবন ও অধ্যসায়ের এক বিরাট সাক্ষ্য ।

আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু , সুনীতিকুমার চট্রোপাধ্যায় অধ্যবসায়ের গুণেই আজ বিশ্ববিখ্যাত । ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর , কাজী নজরুল ইসলাম , সুকান্ত ভট্টাচার্য অধ্যবসায়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । আমরা বাঙালি মাত্রই তাদের জন্য গর্বিত ।

অধ্যবসায়ের চর্চা : আপনি জীবনে যাই করেন না কেন সব কিছুরই চর্চা করতে হয় । অধ্যবসায় এমন এক ধরনের চর্চা যার মাধ্যমে সমস্ত বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে সফলতা অর্জন করতে হয় । কারো মধ্যে জন্ম থেকেই অধ্যবসায় উপস্থিত হয় না বরং এই অধ্যবসায় নিজের মধ্যে অর্জন করে নিতে হয় ।

আমেরিকার সফল উদ্যোক্তা আর্নল্ড গ্লাস গো বলেন যে সাফল্যের আগুন একা একা জলে উঠে না । সাফল্যের আগুন নিজেক নিজের হাতে জ্বালাতে হয় । তাই জীবনে সফল হতে হলে অধ্যবসায় চর্চা করা খুব প্রয়োজন । জীবনে সাফল্য আনতে হলে অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই ।

অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

উপসংহার : অধ্যবসায় হচ্ছে জীবন সংগ্রামের মুল প্রেরণা । এ সংগ্রামে সফলতা ও ব্যর্থতা উভয়ই সামান্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ । তবে অধ্যবসায়ী মানুষ জীবনের সব ব্যর্থতাকে সাফল্যে পরিণত করতে পারে । তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় , জীবনে সাফল্যের জন্য অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই ।

দুঃখ-বেদনা এবং হতাশা যাতে জীবনকে গ্রাস করতে না পারে সেজন্য প্রতিটি মানুষকে অধ্যবসায়ী হতে হবে । আমাদের প্রত্যেকের একটি কথা মনে রাখতে হবে আমাদের জীবনে যদি সফলতা আনতে চাই তাহলে আমাদের প্রত্যেকের উচিত অধ্যবসায় করা । অধ্যবসায় সকল উন্নতির মূলমন্ত্র ।

আমার সম্মানিত প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষন অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলে । আশা করি আপনাদের কাছে এই রচনাটি ভালো লাগছে । আপনি আপনার পরীক্ষায় অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট লিখে খুব সহজেই সব থেকে ভালো মার্ক পেয়ে যাবেন । আপনার যদি এই রচনা সম্পর্কে কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ।

আমাদের banglatipsbd সাইটে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে । আপনার সুন্দর একটা মতামত দিন আমাদের সাইট সম্পর্কে । আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কোন প্রকার হেল্প নিতে চান তাহলে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হয়ে থাকেন । আপনাদের মন চাইলে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখতে পারেন আর হ্যাঁ পারলে আমাদের ইউটুব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন । আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *